পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব, চতুর্থ সংখ্যা ছোট গল্প অনুকুল এই শুনে একটু হেসে উত্তর করলেন, —“ওহে অত চটো কেন দেখছ না লেখক নিজের নাম রেখেছেন ‘বীরবল'। ঐ থেকেই তােমার বােঝা উচিত ছিল যে ও হচ্ছে রসিকতা।” -“তোমরা যাকে বলে রসিকতা আমি তাকেই বলি nonsense. একটা জোড়া কথাকে ভেঙ্গে বলায় মানুষে যে কি বুদ্ধির পরিচয় দেয় তা আমার বুদ্ধির অগম্য।” এ শুনে প্রশান্ত আর চুপ করে থাকতে পারলেন না। তিনি ভুরু কুচকে বললেন, -“তােমার বুদ্ধির অগম্য হলেই যে তা আর সকলের বুদ্ধির অগম্য হতে হবে এমন কোনও কথা নেই। বীরবলের ও কথা nonsense নয় রসিকতাও নয়-ষোল আনা সাচ্চা কথা।” যে যা, বলত প্ৰণান্ত তার প্রতিবাদ কত; এই ছিল তার চিরকেলে স্বভাব। সুতরাং সে সুপ্রসন্ন ও অনুকুল দু’জনের দ্বিমতকে এক বাণে বিদ্ধ করায়, আমরা মােটেই আশ্চর্য হলুম না। বরং নিজের মতকে সে কি করে প্রতিষ্ঠা করে তাই শােনবার আগ্রহ, আমার মনে জেগে উঠল। তর্কের মুখে প্রশান্ত অনেক নতুন কথা বলত। তাই আমি বন্ধুম- -দেখাে প্রশান্ত, রসিকতাকে যে সত্য কথা মনে করে রসজ্ঞান তারও নেই।” পিঠ পিঠ জবাব এলাে- -“সত্য কথাকে যে রসিকতা মনে করে সত্যজ্ঞান তারও নেই।” —“মানলুম। তারপর ওর সত্যিটি কোনখানে বুঝিয়ে দাও হে ?”