পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা ছোট গল্প ২৩৯ দুই। ও দুই হচ্ছে একই জিনিসের এপিঠ আর ও-পিঠ। এখন আমার নিজের জীবনের একটা ঘটনা বলতে যাচ্ছি। তােমরা দেখে প্রথমে তা ছােট হয় কি না, আর দ্বিতীয়ত তা গল্প হয় কি না। এই টুকু ভরা আমি দিতে পারি যে, তা ছাপলে আট পেজের কম হবে না, যােললা পেজেরও বেশি হবে না-বারো পেজের কাছ ঘেঁসেই থাকবে। তবে তা এক ‘সবুজ পত্র ছাড়া আর কোন কাগজ ছাপূতে রাজি হবে কি না, বলতে পারি নে। কেননা তার গায়ে ভাষার কোনও পােষাক থাকবে না। ভাষা জিনিসটে যদি আমার ঠোটের গােড়ায় থাকত তাহলে আমি আঁকও কম্তুম না, গল্পও লিখতুম না, ওকালতি করতুম। আর তাহলে আমার টাকারও এত টানাটানি হত না। সে যাহোক এখন গল্প শোনে।” প্রফেসারের কথা। আমি যে বছর B. Sc. পাশ করি সেই বছর পূজোর ছুটিতে বাড়ী গিয়ে জ্বরে পড়ি। সে জ্বর আর দু’তিন মাসের মধ্যে গা থেকে বেমালুম ঝেড়ে ফেলতে পালুম না। দেখলুম, চণ্ডীদাসের অন্তরের পীরিতি বেয়াধির মত, আমার গায়ের জ্বর শুধু “থাকিয়া থাকিয়া জাগিয়া ওঠে জ্বালার নাহিক ওর।” শেষটা স্থির করলুম চেঞ্জে যাব। কোথায়, জানো?—উত্তরবঙ্গে! ম্যালেরিয়ার পিঠস্থানে। এর কারণ তখন বাবা সেখানে ছিলেন, এবং ভাল হাওয়ার চাইতে ভাল খাওয়ার উপর আমার বেশি ভরসা ছিল। এ বিশ্বাস আমার পৈতৃক। বাবার জীবনের প্রধান সখ ছিল আমার। তিনি ওষুধে বিশ্বাস করতেন