পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ সবুজ পত্র বৈশাখ, ১৩২৫ চরিত্রের সম্যক জ্ঞানের উপরে প্রতিষ্ঠিত নয় বলেই, সে-শিক্ষার রীতি হচ্ছে মনোজগতের অন্ধকারে ঢিল মার। যে সত্য প্রমাণিত ও পরীক্ষিত, সেই সত্যের উপরেই তিনি তার নব-শিক্ষাপদ্ধতির প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার স্কুলে ছেলেদের দৈহিক মানসিক ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হত, কিন্তু ধৰ্ম্ম-শিক্ষা দেওয়া হত না। প্রফেসর ফারিয়া পাতায় পাতায় মানবাত্মার উল্লেখ করেছেন; কিন্তু মানবাত্মা বলতে তিনি বােঝেন—মানুষের সেই ব্যবহারিক আত্মা, যার পরিচয় পাওয়া যায় পৃথিবীর দর্শনে, বিজ্ঞানে, কাব্যে, আর্টে, শিল্পে, বাণিজ্যে, সমাজে ও রাষ্ট্রে। তদতিরিক্ত অপর আত্মার সম্বন্ধে তিনি সম্পূর্ণ নীরব ; সে আত্মার অস্তিত্বে তিনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এ বিশ্বাস তিনি করে যে, সে বস্তুকে শিক্ষা দেওয়া—আর যাই হােক—তার সাধ্য নয়। অর্থাৎ reality-র জ্ঞানের সাহায্যে দেহে মনে ও চরিত্রে সুস্থ সবল সক্রিয় ও সক্ষম মানুষ গড়ে তােলাই হচ্ছে তার ideal, এবং একমাত্র এই ideal-এরই তিনি ভক্ত। এবং এই ধর্মের সাধনপদ্ধতিই হচ্ছে তাঁর শিক্ষাপদ্ধতি। ( ৩ ) ইমারত গাথুতে হলে মানুষের পক্ষে সব আগে তার গােড়াপত্তন করা আবশ্যক, এবং তার জন্য চাই জায়গা বাছা। প্রফেসর ফারিয়ার মতে যিনি একটি নব-বিদ্যালয় স্থাপন করতে চান, তাঁর প্রথম কর্তব্য ইচ্ছে ঐ জায়গা বাছাই করা। এই সহজ কথাটা যে মানুষে প্রায়ই ভুলে যায়, তার পরিচয় ত আমরা নিত্যই পাই। আমরা যেখানে