পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t 한, 한m भक् ि७ वांशिीनऊ Ry) কথাটা শুনিতে একটু হেঁয়ালীর মতই ঠেকে। নিরেট শাস্ত্ৰাধীনতার মধ্যে আবার সামঞ্জস্যের স্থান কোথায়! সামঞ্জস্য ত নূতনকে লইয়া, এই নূতনকে আমল দিলেই যাঁহাদের ধৰ্ম্মচ্যুতি ঘটে, তাঁহাদের সামঞ্জস্যে প্রয়োজন কি ? তাহাঁদের ধৰ্ম্মে ইহার প্রয়োজন না থাকুক, কিন্তু তাহদের কৰ্ম্ম অনেক সময় এই প্রয়োজনকে ছাড়াইয়া উঠিতে পারে না । শাস্ত্র না বদলাক, সময় যে বদলায়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে অবস্থার পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী। আবার অবস্থার অনুযায়ী একটু ব্যবস্থার বদল না করিলেই বা চলে কৈ ? হাজার বৎসরের বিধিগুলো এখনকার অবস্থার সঙ্গে কি ষোল আনা খাপ খাওয়ান যায় ? তাই অবস্থার গতিকে শাস্ত্ৰপন্থীরও পক্ষে সজ্ঞানেই হোক আর অজ্ঞানেই হােক পুৱাতনের সঙ্গে এই নূতনের একটু সমন্বয় করা অপরিহাৰ্য্য হইয়া পড়ে। তবে তঁহার সমন্বয়টা চলে একটু বেনামি রকমে। পুৱাতনের সঙ্গে নুতন বিধির সংযোগ করা তাহার পক্ষে অধৰ্ম্ম হইলেও, পুৱাতনকে মাজিয়া ঘষিয়া একটা নূতন জিলুস দিতে তিনি পিছ পা হন না। তঁহার শাস্ত্রের অক্ষরগুলো যেমন, তেমনই থাকে বটে, কিন্তু তাহার অর্থটি, তাহার ব্যাখ্যা, ভাষ্য টীকা টিল্পনির মুখে বেশ একটু ওলট-পালট খায়। তবে এই চেষ্টা অনেক সময় সম্যক ফলবতী হয় না। অবস্থার একটু আধটু অদল বদলে এটুকুতে কিছু কাজ দেখিতে পারে। কিন্তু অবস্থাটা যখন কালপ্ৰভাবে বড় বেশী ফারাক হইয়া দাড়ায়, তখন আর ঐ বেনামি সমন্বয়ের ছিটে-ফোটায় কিছুই শানায় না।