পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Råde সবুজ পত্ৰ vet, Yore দু’অক্ষরের নয় তিন অক্ষরের, বড় জোর চার অক্ষরের, তার বেশি নয়। সুতরাং চোঁদ অক্ষরের পদের অভ্যন্তরে আমাদের অধিকাংশ শব্দই অক্লেশে পাশাপাশি বসে যায় । পয়ারের রূপ যে অক্ষরের উপর নির্ভর করে এ কথা যে সকলে মানেন না, তার কারণ বাংলা শব্দের অক্ষরের আকারের সঙ্গে মাত্রার LYO BBD D DDDD KBB BBB SBS DDD SLLLB DBDDS K দুই অক্ষরের শব্দের মাত্ৰা দেড় এবং তিন অক্ষরের আড়াই। এবং তাল জিনিসটে যখন মাত্ৰাগত তখন অক্ষর গুণে পয়ার লিখলে ছন্দ যে বেতালা হয়ে যাবার সম্ভাবনা সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। কিন্তু এ গরমিল কবির কোনও ক্ষতি করে না । কেননা কবি অক্ষর LLL DBBD BBK DS DB S LLLEL DDS Suu DD KB হতেই ছন্দে পড়ে যায়,- কেননা তিনি যখন কবিতা লেখেন। তখন তঁর কানে-ছন্দের পুরো সুরাটা বাজতে থাকে,-তিনি মাত্রার সঙ্গে মাত্ৰা জুড়ে পদ্য রচনা করেন না। অর্থাৎ কবির মন প্ৰাণ থেকে যা বেরয় তা গোটা ভাবেই বেরয়, আমরা সেই গোটা জিনিসটিকে পরে ভাগ করে তার গড়নের সন্ধান পাই। আর যিনি কবি নন। অর্থাৎ যার অন্তরে ছন্দ নেই তিনি অক্ষর গুণেই লিখুন। আর মাত্ৰা গুণেই লিখুনর্তার হাত থেকে যা বেরবে তার হয়ত তাল পাওয়া যাবে না, আর যদি BDB KDB DDD D DBDD KDDB DBDBD D S DBB BBDB DB বাজে” বলে “যার কৰ্ম্ম তারে সাজে” না, এমন কথা কেউ বলতে পারেন না। মাত্রার হের-ফের করে কবি ছন্দের সম্পূর্ণত রক্ষা করেন। মাত্রার কম বেশীর হিসেব তখনই চোখে পড়ে যখন আমরা প্ৰতি শব্দটিকে আলাদা করে দেখি-কিন্তু একটি পুরো