পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OOR সবুজ পত্র vet, see কল্পশেখর বললে-“শোনো তরুণী, মানুষের সাধ্য নেই এই খরাস্রোতা নিবরিণী হেঁটে পার হয় । শোনো, চল আমরা দুজনে এই ঝরণা ধরে উজানের দিকে চলে যাই । যেখানে এর পরিসর স্বল্প হবে সেখানে এটাকে আমি ডিঙ্গিয়ে যাব।” তরুণী বললে-“আচ্ছা চল ।” দু’জনে দু’পার দিয়ে ঝরণার উজানে যাত্রা করল। দু'জনে ধীরে ধীরে চলতে লাগল। ধীরে ধীরে সোনালি সূৰ্য্য পুব গগনে উঠে মাঝ গগনে গিয়ে পড়লা-আবার সেখান থেকে ক্লান্ত দেহে রাঙ্গা মুখে পশ্চিমে ঢলে পড়ল, কিন্তু ঝরণা তেমনি হুহু শব্দে ছুটে চলেছে, কোনখানেই তার পরিসর এমন সঙ্কীর্ণ হয় নি যে, করশেখর তা ডিঙ্গিয়ে যেতে পারে । সন্ধ্যা যখন তার কাজল আঁখি নিয়ে, তার কালো আঁচল আকাশে উড়িয়ে প্রকৃতিকে নিস্তব্ধ হ’তে ইঙ্গিত করল। তখন তরুণী ব্যথিত কণ্ঠে ডাকুল-“কল্পশেখর।” “侍 مهم “আর ত আমি হাঁটুতে পারি না, কল্পশেখর।” কল্পশেখর বললে-“তবে আজকার মত আমাদের যাত্ৰা শেষ । শোনো তরুণি, এইখানে আমরা দু’জনে রাত কাটাব। তারপর প্রভাত হ’লে আবার চলব।” তারা সেইখানে নিঝরিণীর দু’ধারে দু’জনে শ্রান্ত দেহে বসে পড়ল, দু’জন দু’জনের দিকে চেয়ে রইল। চারিদিকের স্তব্ধতার বুক চিরে YYKBD DD DDOuB DBE DLLOBuuBDBDB DD BB BDD DBDBDBD বাধার মতো অক্লান্ত বেগে ছুটে চলল। ধীরে ধীরে চারিদিকে আঁধার নিবিড় হ'য়ে এল, সুন্দরীর নীলাঞ্চলে চুমকির মতো, নীলাকাশে লক্ষ তারা জ্বল জ্বল করে উঠল। কৌতুহলী