পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এম , প্রথম সংখ্যা নব-বিদ্যালয় ভাললােক মন্দলােকের কোন কথা নেই। মানুষ যতই ভাল হক , তার ধাত বলে একটা জিনিস আছে-এবং অনেক স্থলে মতে মিললেও, পাঁচজনের ধাতে মেলে না। এবং পাঁচজনে যত কাছা- কাছি যত ঘেঁষাঘেঁসি করে থাকে, তাদের পরস্পরের ধাতু-বৈষম্য তত ফুটে ওঠে। প্রফেসর ফারিয়া বলেন-যে ক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি পরস্পরের বিদ্বেষ প্রকাশ্য-বিরােধে না দাড়ায়, সে ক্ষেত্রে তা প্রম অবস্থায়ই থাকে এবং প্রচ্ছন্ন বিষের মত তা অলক্ষিতে স্কুলদেহকে জর্জরিত করে। এই কারণে স্বয়ং প্রফেসর ফারিয়া ব্যতীত তঁার স্কুলের সকল মাষ্টারই ব্ৰ'সেলসে বাস করতেন—অতএব ব্রাসেলস হাতের গােড়ায় না থাকলে এ স্কুল চলত না। যদি বলেন, যে-গাঁয়ে স্কুল সেই গাঁয়েই মাষ্টারদের আলাদা বাসা করে দিলেই ত হত, ব্রাসেলস পাঠাবার কি দরকার ছিল?—তার উত্তর, তর নব-বিদ্যালয় ক্রোরপতির স্কুল নয়। এদের নব-শিক্ষা- পদ্ধতি কাৰ্য্যে পরিণত করবার জন্য নববিদ্যালয়ে বহু মাষ্টার এবং অতি উচুদরের মাষ্টার চাই-কেননা প্রফেসার ফারিয়া বলেন, স্কুলের ভালমন্দ, যারা চালায় তাদেরই উপর নির্ভর করে, নিয়ম- বলীর উপর নয়। তার ৩৫টি ছেলের স্কুলে ১৭টি মাষ্টার ছিল, এবং এদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ বিষয়ে এক একটি গণ্যমান্য ব্যক্তি। স্কুলের তহবিলে লাখ দুলাখ টাকা না থাকলে এ দরের মাষ্টারদের সব বাধা মাইনের চাকর করে রাখা যায় না। এরা প্রায় প্রত্যেকেই ব্রাসেলস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। হপ্তায় একদিন আধদিন এসে এরা ছেলেদের শিক্ষা দিয়ে যেতেন। এ কাৰ ভঁরা আহলাদের সঙ্গেই করতেন, কেননা সহরে দিন সকাল সন্ধ্যে কাজ করে একদিন গাছ-