পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীমান চিরকিশোর কল্যানীয়েষ্ণু । আমার শেষ চিঠি পড়ে, তুমি চমকে না যাও, চমৎকৃত যে হয়েছি, সে কথা শুনে আমি আশ্চৰ্য্য হচ্ছি নে। পত্ৰখানি যে আগাগোড়া। পড়তে পেরেছ, এই আমার সৌভাগ্য। তুমি জিজ্ঞাসা করেছ-ইউক্লিড পরমতত্ত্ব নয়, চরম আর্ট-একথা বলে আমি কি বলতে চেয়েছি ? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর-যা বলতে চেয়েছি, তা ঐ পত্রের ভিতরেই আছে। মনে ভাৰুতে পাের, এ উত্তর হচ্ছে-চালাকি করে ও প্রশ্ন এড়িয়ে যাবার চেষ্টা। BBD DDD K BDD SSBBD DB BDB BBB DBBDDL DB DD DDDB চান ? কলমের মুখ দিয়ে যে অনেক সময় এমন সব কথা বেরিয়ে যায়, যা বলবার লেখকের কোনরূপ অভিপ্ৰায় ছিল না,-তা লেখকমাত্ৰেই জানেন । লিখতে বসলেই দেখা যায়, কথায় কথা টানে, ভাব ভাবের পিছনে ছোটে, তারপর লেখা আপনা হতেই তার নিজামুৰ্ত্তি ধারণ করে। ঘতরাং সে মুৰ্ত্তির যদি কোনও মাথামুণ্ডু না থাকে, ত সে কলমের দোষ, লেখকের নয়। কবিকঙ্কন ভারতচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি যে বলেন যে সরস্বতী তঁদের মুখে বাণী দিয়েছেন, সে কথা আমি বিশ্বাস করি। আমরা যাদের কবি বলি, তঁদের মন যে ভাবসাগরে চিরদিন পাল খাটিয়ে অকুলের দিকে চলে, এ কথা যে না জানে, সে কাব্য কাকে বলে তা