পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Ra q, qö 7Nyt পত্র । ost বীশুখৃষ্ট স্পষ্টই বলেছেন যে “আমি তোমাদের শান্তি দিতে আসি নি, দিতে এসেছি অসি”। শ্ৰীকৃষ্ণ আসি নিয়ে আসেন নি, এসেছিলেন বাঁশি নিয়ে। কিন্তু সে বঁাশি যে কি গোল ঘটিয়েছিল, তা সকলেই জানেন। সে বঁাশির ডাকে যমুনা যে উজান বয়েছিল-সে আনন্দে, সুখে নয়। যার প্রতি অণু,পরমাণুকে উজান ঠেলে যেতে হয়, তার সুখই বা কোথায়, আর সোয়াস্তিই বা কোথায় ? সাহিত্যের অসিই বল আর বঁশিই বল-দুয়েরই কাজ হচ্ছে সকল মনের শান্তি ভেঙ্গে দেওয়া । কেননা কাব্য চায় মানুষকে আনন্দ দিতে, আর কবি জানে যে শান্তি হচ্ছে সীমার ধৰ্ম্ম-আনন্দ অসীমের। এই সীমা অতিক্রম করবার শক্তিপ্রয়োগে আনন্দের জন্ম, এবং সেই শক্তির বৃদ্ধিতেই আনন্দের স্মৃৰ্ত্তি । মানুষ ঘর ছাড়তে চায় না, আর সাহিত্য তাকে বাইরে টেনে নিয়ে যেতে চায় । এই জন্যেই তা সাহিত্যের উপর সমাজের এত আক্রোশ, এত অত্যাচার। অতএব প্ৰতিদেশে প্রতিযুগে সাহিত্যের কথা সামাজিক sedition হিসাবে গণ্য। সুতরাং আমরা যদি সাহিত্য রচনা না করে বাজে বাকি, তাতে আমাদের বুদ্ধির দোষ দিতে পার না। এ কথা শুনে তুমি হেসে বলবে যে, আমি যখন কবি নই।--তার্কিক, তখন আমার ভয় কি ?-এ কথা আমি মানি যে, আমি কাউকে আনন্দ দিতে পারি। নে বলে অনেককে শিক্ষা দিতে চাই। কিন্তু বিচার করাও । যে সকল ক্ষেত্রে নিরাপদ নয়-বৌদ্ধ শাস্ত্র হতে তার প্রমাণ দিচ্ছি। তুমি ভারতবর্ষের ইতিহাস জান, অতএব তোমাকে বলা বাহুল্য যে King Menander ficer fist(RT is gif, art fift civধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন । ভিক্ষু , নাগ দেন ছিলেন তঁর দীক্ষা-গুরু। নাগসেনের সঙ্গে Memander-এর প্রথম সাক্ষাতে কি কথোপকথন