পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ee R সবুজ পত্ৰ VtfRta, »eRe এর প্রমাণ এই যে, আজও প্রাচীন কালের বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের নাম করে মাঝে মাকে হা-হুতাশ শুনতে পাওয়া যায় এবং তা প্ৰবৰ্ত্তন করবার ধুয়োও মধ্যে মধ্যে ওঠে। এরা গায়ের জোরেই মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চান। কিন্তু মনের জোর যে গায়ের জোরের চাইতে জেয়াদাই হয়ে থাকে, এটা সনাতন সত্য। প্রাচীন কালের মানুষেরা নিজ DD DDD DDB BDBB D DBDB S BDDS BDBDS DD DBDDDD বা কেন আমাদের নিজের মন নিয়ে আমাদের নিজের জীবন গঠন করব না-এ প্রশ্নটা যে কেন অনেকের মনে উদয় হয় না, সেটা আশ্চধৰ্য্যই বলতে হবে-বিশেষত এই Self-determination-এর দিনে । Self-determination যে কেবল রাজনৈতিক জগতেই সুখ স্বাস্থ্য ও আনন্দের মূল তাই নয়-মানুষের অন্তরের জগতেও তাই। তবে এই রকমের মনের ভাবের কারণও যে নেই তা নয়। আমি আগেই বলেছি--সেটা হচ্ছে মানুষের দীনতা, তার নিজের উপর ভরসার অভাব। সেকালের সবাই ছিলেন এক একজন প্ৰকাণ্ড ঋষি । আর একালের আমরা সবাই এক একজন দীন অকিঞ্চন! মানুষের এই ভাব মানুষকে কোন দিনই অমৃতের পথে নিয়ে যাবে না। এই ভাব মানুষের শক্তিকে কোন দিনই উদ্ধৃদ্ধ কাবরার সাহায্য করবে না। I আর যে শক্তিহীন তার যে আত্মদর্শন লাভ ঘটে না-এ ত উপনিষদেরই কথা । প্রাচীন কালের ঋষিরা মনকে সত্য বলে’ জেনেছিলেন, কারণ তঁরা মানুষের প্রকৃতি বলে যে জিনিসটা আছে, তার রহস্য বুঝেছিলেন। প্ৰকৃতির ধৰ্ম্ম যে কি, তা বুঝেছিলেন, তাই তঁরা মানুষের ধৰ্ম্মকে কোন “ক্রীড’-এর দ্বারা আবদ্ধ করেন নি-মানুষের ধৰ্ম্মকে