পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, যষ্ঠ সংখ্যা । fa తిeసి কাণুে উঠে কিছুকালের পরই বিলোপ হয় ; মানুষের সভ্যতার ভাণ্ডারে কিছুই স্থায়ী সম্পদ রেখে যায় না। আমার সুমুখে উরিপিন্ডিসের কয়েক খানি নাটক রয়েছে। এগুলি ত কেবল খৃষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর হেলাসের ঐক্য-বন্ধন নয়। তেইশ শ’ বছর আগেকার এথেন্সের . নাগরিকের মত আমিও যে আজ সে কাব্যের রসে মেতে উঠুছি। এগুলি যে চিরদিনের জন্য মানব-সভ্যতার অক্ষয় মঞ্জুষায় সঞ্চিত হয়ে গেছে। যুগের পর যুগ বিশ্বজন এর সুধা আনন্দে পান করবে। আর রোমের প্ৰভুত্ব ?-সেটি রয়েছে- ঐ মমসেনের পৃষ্ঠায়। এই যে প্রভেদ, এ ত মমসেনের চার ভালুমও মুছে ফেলতে পারে না। একে কেবল মানুষের সভ্যতার প্রকার ভেদ বলে আপোষ মীমাংসার চেষ্টায় কোনও ফল নাই। এর একটির চেয়ে আর একটি শ্ৰেষ্ঠ, নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ ; যেমন জড়ের চেয়ে জীবন শ্ৰেষ্ঠ, প্ৰাণের চেয়ে মন শ্রেষ্ঠ। মানুষের সভ্যতার ধারা দুই। এক ধারা বয়ে যাচ্ছে-কেবলই কালের মধ্য দিয়ে, জাতিকে, সভ্যতাকে ভাসিয়ে নিয়ে স্মৃতি ও বিস্মৃতির মহাসাগরে মিশিয়ে দিচ্ছে। নতুন জাতি, নুতন সভ্যতার স্রোত এসে ধারার প্রবাহকে সচল রাখছে। আর এক ধারা জন্ম নিয়েছে কালেরই মধ্যে, কিন্তু কালকে অতিক্রম করে” ধ্রুবলোকে অক্ষয় স্রোতে নিত্যকাল প্রবাহিত হচ্ছে। নুতন স্রোত এসে এ ধারাকে পুষ্ট করছে ; কিন্তু এতে একবার যা মিশছে, তার আর ধ্বংশ নেই, তা আচুত। কেননা এ লোকে তা পুরাতন কিছু নেই, সবই সনাতন, অর্থাৎ চির-নূতন। সভ্যতার স্মৃষ্টির এই যে নশ্বর দিকটা .এ কিছু তুচ্ছ নয়। এইখানেই বিবিধ মানবের বিচিত্ৰ লীলা, সমাজ । গঠনে রাষ্ট্রনিৰ্ম্মাণে, শৌর্য্যে, বীৰ্য্যে, মহন্ত্ৰে, হীনতায় চিরদিন তরঙ্গিত