পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ማ ማቑ, ማb ማኛዌri Citat eto দিকেই টানবে। যেই যখন শক্তিশালী হ’য়ে উঠবে তারি মনে হবে মানুষের বৈচিত্ৰ্যকে ধ্বংশ করে পৃথিবীর যতটা অংশের উপর পারা যায়, নিজের আধিপত্যের একরঙ্গ তুলিটা বুলিয়ে নেওয়া কেবল স্বার্থ সিদ্ধির উপায় নয়, সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্ব লাভেরই পথ। এ যে অতিশয়োক্তি নয়, তার প্রমাণ মমসেন থেকেই তুলে দিচ্ছি। সিজারের গল বিজয়ের বর্ণনা মমসেন এই বলে’ আরম্ভ করেছেন-যেমন মাধ্যাকর্ষণ ও আর আর পাঁচটা প্ৰাকৃতিক নিয়ম যার অন্যথা হবার যো নেই, তেমনি এও একটা প্ৰাকৃতিক নিয়ম যে, যে জাতি রাষ্ট্র হয়ে গড়ে উঠেছে সে তার অ-রাষ্ট্রবদ্ধ প্ৰতিবেশী জাতিগুলিকে গ্ৰাস করবে, এবং সভ্যজাতি, বুদ্ধিবৃত্তিতে হীন তার প্রতিবেশিদের উচ্ছেদ করবে। এই নিয়মের বলে ইতালীয় জাতি (প্রাচীন জগতের একমাত্র জাতি যে শ্রেষ্ঠ পলিটিকাল উন্নতির সঙ্গে শ্রেষ্ঠ সভ্যতা মেশাতে পেরেছিল, যদিও শেষ বস্তুটির বিকাশ তাতে অপুর্ণ ভাবে এবং কতকটা বহিরাবরণের মতই ছিল ) পূবের গ্রীকদের, যাদের ধ্বংশের সময় পূর্ণ হয়ে এসেছিল, তাদের করায়াত্ত করতে, এবং পশ্চিমের কেন্ট জাৰ্ম্মণদের, যারা সভ্যতার সিড়ির নীচের ধাপে ছিল, তাদের উচ্ছেদ সাধন করতে সম্পূৰ্ণ অধিকারী ছিল। প্ৰাকৃতিক নিয়ম যে কেমন করে আধিকারে পরিণত হয়। সে রহস্যের চাবী হয়ত হেগেলের লজিকেও মিলবে না। সে যাই হোক এ ‘নিয়ম’ ও ‘অধিকারের মুস্কিল এই যে এর জন্য পৃথিবীর সমস্ত জাতিকে সারাক্ষণ নখদন্তু বের করেই থাকতে হয়। কেননা মল্লাঙ্গনই হচ্ছে এ “অধিকার প্রমাণের একমাত্র স্থান। কারণ বুকের উপর চেপে বলতে পারলেই প্রমাণ হ’ল যে চেপে বসার অধিকার আছে ; আর