পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

● दर्श्व, बडे गरथl > নব-বিদ্যালয় Noyo পড়ে, সে মন কৈশোর ও যৌবনে তার পূর্ণশক্তি লাভ করতে পারে। না। আমাদের অধিকাংশ যুবকদের মনের যে দাম ও কশ নেই, তার একমাত্র কারণ আমাদের এই সৃষ্টিছাড়া শিক্ষা-পদ্ধতি। কিন্তু ইংরাজি শেখাটা আমাদের অন্নবস্ত্রের সংস্থান করবার জন্য এতই প্ৰয়োজন, যে আমাদের সমাজের যত বিদ্বান ও বুদ্ধিমান লোক একবাক্যে বলবেন,-হোক আমাদের ছেলেরা মনে পঙ্গু, তাদের ঐ পাঁচ বছর বয়েস থেকেই A, B, C, শিখতে হবে, নচেৎ তারা বয়েসকালে ইংরাজি-নবিশ হতে পারবে না। না ভেবেচিন্তে কথা কওয়াটা, বিশেষত সেই সব বিষয়ে-যে বিষয়ে তঁরা সম্পূৰ্ণ অজ্ঞ-আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের একটা রোগের মধ্যে দাড়িয়ে গিয়েছে । কেননা অপর দেশের শিক্ষার প্রণালী এবং তার ফলাফল সম্বন্ধে এরা যদি কিছু খোঁজ খবর রাখতেন, তাহলে এরা এ কথা জানতেন যে, বারো বৎসর বয়েসের পরে, অর্থাৎ, মাতৃভাষার উপর যথেষ্ট পরিমাণে অধিকার লাভ করবার পরে, ছেলেরা দু-তিন বৎসরে বিদেশী ভাষা যতটা আয়ত্ত্ব করতে পারে, পাঁচ বৎসর বয়েস থেকে সুরু করে তারপর দশ বৎসরের অবিরাম চর্চায় তার সিকির সিকিও পারে না । । এই কারণে নব-বিদ্যালয়ে ছেলেদের বারো বৎসর বয়েসের আগে, মাতৃভাষা ছাড়া আর কোনও ভাষার সংশ্রবে। আসতে দেওয়া হয় না। এদেশেও পুরাকালে উপনয়নের পরই সংস্কৃত শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল। অতএব ভাষা শিক্ষার প্রথম এবং প্রধান কথা হচ্ছে-মাতৃভাষা শিক্ষা। মাতৃভাষাও যে একটা শিক্ষার বিষয়, এ জ্ঞান আমরা হারিয়ে বসে আছি। আমাদের ধারণা, এ বিষয়ে বাঙালীমাত্রেরই অশিক্ষিত পটুত্ব আছে। সে পটুত্ব যে বেশির ভাগ লোকের নেই, তা তারা (s