পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Sy সবুজ পত্ৰ কাৰ্ত্তিক ও অগ্রহায়ণ, ১৩২৫ ফেলতেন না। চৈতন্য দেবের জীবন চরিতে, মহাপ্রভুকে দেখে নবদ্বীপের নারীগণের পতিনিন্দাটা, ভেবে দেখ দেখি, কি বেখাপ্পা শোনায় ! তবুও এ গ্রন্থ অবশ্য পাঠ্য-তার ভাষার গুণে । তারপর আসে “চৈতন্য চরিতামৃত”। এ গ্রন্থের বস্তু প্ৰথমত সাহিত্য নয়, এর ভাষা দ্বিতীয়ত বাঙলা নয়। কবিরাজ গোস্বামী মহাশয় লিখেছেন দর্শন এবং যে ভাষায় তা লিখেছেন, তার নাম আমি ঠিক SBBD S L LDDDDDS DBDSSiB BDLDD BD DBBDB BBS BBLLKS বাধো বাঙলায়ও বলা যেতে পারে । এই ভাষা-বিভ্রাটের জন্য তাকে কোনও দোষ দেওয়া যায় না । তিনিও এ গ্ৰন্থ রচনা করেছিলেন গুরুর আদেশে । এবং গুরু যখন তঁর প্রতি এ আদেশ করলেন, তখন কবিরাজ গোস্বামী মহাশয়ের বয়েস চৌরাশী বৎসর এবং বহুকাল ব্ৰজবাসের ফলে, বাঙলা ভাষা তিনি এক রকম ভুলেই গিয়েছিলেন। “চৈতন্যচরিতামৃত” রচনা করবার জুড়ি heroic act পৃথিবীর সাহিত্যে আর নেই। “চৈতন্যচরিতামৃত”-এর মাহাত্ম্য আমি সম্পূর্ণ বুঝি, ধৰ্ম্মগ্রন্থ হিসেবে এর যথেষ্ট মূল্য আছে। তবুও ঐ গ্ৰন্থ পড়তে আমি তোমাদের অনুরোধ করব না, কেননা সে পাঠের ফলে বাঙািল শেখার বিশেষ সাহায্য হবে না । একটা সুখবর দিই। “চৈতন্য-ভাগবত”-এর একটি সর্বাঙ্গসুন্দর ংস্করণ আছে। শ্ৰীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় যে গ্রন্থের সম্পাদক সে গ্ৰন্থ যে সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য, সে কথা বলা নিষ্মপ্রয়োজন । তবে ও-সংস্করণটি আজকাল বাজারে মেলে। কিনা জানিনে, আর যদিও বা মেলে, তাহলে তার দাম চার পাঁচ টাকার কম হবে না। আমার মতে যে বই প্ৰতি বাঙালীর পড়া উচিত, সে বই এমন দুল্লভ ,