পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, সপ্তম ও অষ্টম সংখ্যা বাঙলা কি পড়ব 8 Re ভারতচন্দ্রের অশ্লীলতা সম্বন্ধে যেমন দ্বিমত নেই, তার ভাষার শ্ৰেষ্ঠতা সম্বন্ধেও তেমনি দ্বিমত নেই। কি গুণে এ ভাষা এত চমৎকার, সেই বিষয়ে, কিঞ্চিৎ আলোচনা করায় আমার বিশ্বাস সময়ের বৃথা ব্যয় করা হবে না । ( سرا ) ভারতচন্দ্রের ভাষার প্রথম গুণ এই যে, তার ভাষা হচ্ছে বিশুদ্ধ । বাঙলা । আমি তার ভাষাকে এই কারণে বিশুদ্ধ বিশেষণে বিশিষ্ট করেছি যে, তা শুধু খাটি বাঙলা নয়। সেই সঙ্গে শুদ্ধ ভাষা। ভাষা সম্বন্ধে এই শুদ্ধ শব্দটি সাধুবাদীরা যে অর্থে বোঝেন সে অবশ্য তার প্ৰকৃত অর্থ নয়। “ঘরের কথা”কে “গৃহের শব্দ” যিনি বলে সুখ পান। তিনি বলুন, তাতে আমার কোনই আপত্তি নেই। কিন্তু “তন্তব”কে “ - ৎসম”-এ ফিরিয়ে দেওয়া মাত্ৰ ভাষা যে উণ্টো লাফে একদম শুদ্ধ হয়ে ওঠে, এই ভুলটা দেশশুদ্ধ লোক না করলেই আমরা খুসি থাকব। তবে এ কথাও সম্পূর্ণ সত্য যে, সাহিত্য রচনা করতে বসলে, মৌখিক ভাষাকে শোধন করে নিতে হয়, কিন্তু রূপান্তরিত করতে হয় না। যে সকল সাধুৱা রূপোকে সোনাতে রূপান্তরিত করবার কৌশল । জানেন, তঁরা অতি কৌশলী হলেও যে সাধু নন, এ সত্যের পরিচয় ত আমরা পুলিশ কোর্টেও পাই। তবে শোধন ক্রিয়ার ফলে ভাষা যখন । নিৰ্ম্মল ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তখনই সে ভাষা শুদ্ধ হয়। কবিকঙ্কনের - ভাষার সঙ্গে ভারতচন্দ্রর ভাষার তুলনা করলেই এই শুদ্ধতা কি বস্তু, তা সকলেই প্ৰত্যক্ষ করতে পারবেন। কবিকঙ্কনের ভাষার অনেক