পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ ব্য, প্রথম সংখ্যা ভরা পূর্ণতা লইয়া গুরু আসুন-পড়ুক আকাশ ভাঙ্গিয়া বজ্র—সব এক মুহুর্তে ঠিক হইয়া যাইবে। অনেক দিনের এই দুর্গ, মন ইহাকে মানিতে চায়, বুদ্ধিকে ইহা আছন্ন করে। পুনরাবৃত্তির পথে ঠুলি দেওয়া গরুর মত চলিয়াছি, এই দুর্গতি হইতে বঁাচাইবার কান্না কবে উঠিবে। আমাদের জীবনে নিশ্চেষ্টতা সবদিক হইতে আমাদের আক্রমণ করিয়াছে। প্রাণশক্তি কমিয়া আসিয়াছে, কাঁটা ফুটিলে তাহা যে বিষাক্ত ক্ষত হইয়া দাড়াইবে তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? গােড়ায় যে প্রাণশক্তিকে নিশ্চেষ্ট করিয়া ফেলিয়াছি, সেখানে যখন জোয়ার আসিবে তখনই সব সার্থক হইবে। মূলে, অধ্যাত্মিক জীবনে, প্রচুর প্রাণধারা বর্ষণ করিয়া গুরু আমাদের রক্ষা করিবেন। হাজার রূপ ধরিয়া তিনি আসিবেন। হৃদয়ে হৃদয়ে তিনি বাস করিতেছেন- “বিশ্বকর্মা মহাত্মা”—তিনি মহাত্মা, সকলের আত্মার মধ্যে তিনি কাজ করিতেছেন, সকল মনুষ্যের মধ্যে তিনি “নিবিষ্টঃ।” তিনি যখন আসেন তখন আত্মায় আত্ময় জাগরণের মন্ত্র উচ্চারিত হয়,-একজি কোনও একজনের সাধ্য নহে। বসন্ত মত সব দিক দিয়া সকলকে তিনি পত্রপুষ্পে ভরিয়া দেন, বর্ষার মত সমস্ত তিনি প্লাবিত করিয়া দেন। ইহাই ‘অচলায়তনের বাণী। সন্তোষ চন্দ্র মজুমদার।