পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, সপ্তম ও অষ্টম সংখ্যা একখানি ছোট্ট উপন্যাস e কৃষ্ণপক্ষ যে বিজলীকে গর্ভে ধারণ করেছিল, সেটা তার দেহের কৃষ্ণবর্ণেই ধরা পড়বার কথা। গোড়াতেই বৃহস্পতি হয়তো প্ৰতিকুলে দাড়িয়েছিল; নতুবা বিজলীর এমন দুর্ভাগ্য যে, মুনসেফ,বাবুর বড় গিনি, উমাতার হল তার গর্ভধারিণী। বড় গিন্নির প্রতি মুনসেফ,বাবুর যে কতটা অনুরাগ ছিল, এই একটি ঘটনা তার পরিমাণ নিৰ্দ্ধারণ করবে,--- বড় বৌয়ের উমাতারা নামটি যেমন তেমনিই রয়ে গেছল। আর যদিচ মুনসেফ,বাবু পৌরাণিক বিধি-বিধানের উপর বিশেষ শ্ৰদ্ধা রাখতেন, তার ছোট বৌয়ের যোগমায়া নামটির পৌরাণিকত্ব কোন কালে ঘুচে গেছল। আদরের অত্যধিক চাপে সে নামটি ভেঙ্গে-চুরে। নানা ঢংএ, নূতন নূতন ছাদে গড়ে উঠেছিল। কত রকম অভিব্যক্তি তার ঘটেছিল, যথা-মায়া, মায়ারাণী, রাণী ইত্যাদি। জন্ম থেকেই বিজলী যে পাপের বোঝা বয়ে এনেছিল, তার গুরুভার আরো বাড়াবার জন্য গ্ৰহগণ হয়তো কুপিত হয়ে তার বিরুদ্ধে একটা DDDS BBDBD SBDDD B BB BBD DBDBSuDDD যেন কোন গৃহ-দেবতার অভিশাপের মতোই এসে উমাতারার কোলটি জুড়ে নিয়েছিল। আর মায়ারাণী পূৰ্বজন্মে যে সতী সাধবী রমণী ছিল, এইটে যেন প্ৰতিপন্ন করে তার আর জন্মের পুণ্যের জের, এজন্মে তার মাণিক-জোড়, দুটি পুত্ৰ-সন্তানে এসে ঠেকেছিল। বড়গিরির বড় মেয়ে বিজলীযখন যৌবনের প্রথম ধাপে পা দেবে দেবে এমন হল, মুনসেফ,বাবুত ভেবে সারা হতে লাগলেন। মেয়ের প্রতি । মুনসেফ,বাবুর যে একান্ত প্ৰাণের দরদ ছিল, এটা অনুমান করবার বড় বেশি সঙ্গত হেতু অবশ্য ছিল না। কিন্তু মুনসেফ,বাবুৱা মান-মৰ্যাদার ভ একটা দাবী ছিল। একজন মুনসেফ হয়ে তিনি ত পথের একটি