পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, সপ্তম ও অষ্টম সংখ্যা একখানি ছোট্ট উপন্যাস bee অটল প্রথার কঠিন নাগপাশে আত্ম-বলিদান দেয়। আর সেইটে উপলক্ষ্য করে দেশে তখন ভারি একটা আন্দোলন উপস্থিত হয় । যুবকদের প্রাণে একটি কৰ্ত্তব্য বোধ জাগিয়ে তোলাবার জন্য দেশের বক্তারা তাদের গলার আওয়াজ একেবারে সপ্তমে চড়িয়ে আকাশের বুক বিদীর্ণ করছিলেন ; আর কাগজের সম্পাদক মহাশয়রা তাদের কলমের ডগাতে যেন ভাবের ফোয়ার ছুটিয়ে দিলেন। কুমারীশ । আশৈশব কৰ্ত্তব্য পালনেই রত ছিল। পাঠশালার গুরুমহাশয়, ইস্কুলের শিক্ষক এবং কলেজের অধ্যাপক থেকে সুরু করে, যেখানে যার কাছে তার যতটুকু কৰ্ত্তব্য, সেটা ষোল আনা চুকিয়ে দেওয়াই তার জীবনের ছিল চরম লক্ষ্য । এহেন কৰ্ত্তব্যপরায়ণ কুমারীশের অন্তরে, সেই আন্দোলনের দিনেও কৰ্ত্তব্যের একটি সুমহান মূৰ্ত্তি দেখা দিয়েছিল, যার পুজো জোগাতে কুমারীশের সমগ্ৰ মন সর্বতোভাবেই প্ৰস্তুত ছিল। একটি উপলক্ষ্যও এবার জুটল। কুমারীশ বাড়ীতে গিয়ে বৌদিদিকে চিঠি লিখলে, বিজলীকে সে বিয়ে করবে। এতে যদিচ সকলেই কিছু বিস্মিত হলেন, কোনরূপ আপত্তি করবারও কোন হেতু কারুর ছিল না। মুনসেফ,বাবু আর সৰ্ব্ব-ডেপুটী বাবু উভয়েই জাতিতে ছিলেন কায়স্থ, এবং একই শ্রেণীর। আর দুটি ঘরও ছিল প্ৰায় সমতুল্য। যদি কুমারীশের মা জীবিত থাকতেন, তিনি হয়তো তার অমন পাশ-করা ছেলেকে একটি কালো । মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে নারাজ হতেন ; কিন্তু কুমারীশের মাও Cर्दैgछ छिव्शन ना । ந் একদিন এক শুভক্ষণে মুনসেফ,বাবু কুমারীশের হাতে কন্যা সম্প্রদান করলেন। বিজলীর এ সৌভাগ্যকে বাঙালী-ঘরের তরুণী