পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ, সপ্তম ও অষ্টম সংখ্যা একখানি ছোট্ট উপভার্স fè প্রাণের উচ্ছাস, অজস্ৰ চুম্বন বর্ষণে সে যেন একেবারে ঢেলে । দিত । - বিজলীর জীবনের ধারা হয়তো এমনি ভাবে গড়িয়ে গড়িয়ে ভবিষ্যতের পথে আরো বহুদূর অগ্রসর হতে পারত, কিন্তু একটি ঘটনার চাপে তার জীবনের পাড় যেন একেবারে ভেঙ্গে এসে এক ঐরাবতের মত তার চলাবার পথ রোধ করল। ঘটনাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই,-কুমারীশ গিয়েছিল তার এজলাসে। বিজলী তার সঙ্গীদের প্রতীক্ষায়, একুখানি মাসিক কাগজ হাতে করে বসে ছিল। একটি বৃদ্ধ স্ত্রীলোক এসে তার পায়ের উপর একেবারে কেঁদে পড়লে । স্ত্রীলোকটির পরণের যে কাপড়, তাতে ছিল শত গ্ৰন্থি । আর শোক-তাপ-অনশন তার জীবন শেষের পথে তাকে যে | অনুধাৱন করেছিল, তার যথেষ্ট পরিচয় ছিল তার কঙ্কালসার দেহ- * খানিতে। স্ত্রীলোকটির একমাত্র পুত্র, তারও মৃত্যু হয়েছিল। থাকবার মধ্যে তার ছিল, বিধবা পুত্ৰবধু আর কটি নাতি-নাতনী। বড় নাতিটির বয়স উনিশ কি কুড়ি বছর, সে রেল ইষ্টেশনে নটাক, বেতনের একটি কাৰ্য্য করত। ঐ ক’টি টাকাতে কোনক্রমে কায়ক্লোশে খেয়ে না-খেয়ে তারা সংসার চালাতো। আশ্বিন মাসে পূজোর সময়” পাড়ার এ-বাড়ীর ও-বাড়ীর ছেলে-মেয়েদের নতুন নতুন সাজসজ্জা - দেখে ছোট ছোট কাটি ভাই-বােন দাদার কাছে পূজোর কাপড়ের জন্য। কান্নাকাটি জুড়ে দিলে। যুদ্ধ উপলক্ষ্যে এদিকে কাপড়ের বাজার তা ? একেবারে আগুন । তেমন চড়া দামে কাপড় কিনে পরিবার সঙ্গতি । তাদের আদৌ ছিল না। কিন্তু যারা শিশু, তাদের সে সবিবেচনা ? কোথায় ? : দাদা দু’বেলা রেল ইষ্টেশন থেকে যখন বাড়ী ফিরুজ,