পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

åsiko, ; সবুজ পত্ৰ কাৰ্ত্তিক ঔ অগ্রহায়ণ, ১৩২৫২ তার সাড়া পাওয়ামাত্ৰ ক’টি ভাই-বোন পরম উল্লাসে ছুটে আসূত; আর দাদার হাত দুখানি যখন শূন্য দেখাত, মন বড়ই ক্ষুন্ন করে তারা BDBDB BBDBD SS S BB BD BDBDS MLBD DBD LDDLSDBJSiDD DBDDB অষ্টমীর দিন পৰ্যন্ত দাদা তার ভাই-বোনদের ভুলিয়ে রেখেছিল। সেই দিন সে একটি কাণ্ড করে বসলে । রেল-ইষ্টেশনে যাবার পথেই এক ঘর তঁাতির বাস ছিল। ইষ্টেশনে যাবার সময়, এবং বাড়ী ফিরবার পথে সেই বাড়ীতে দাদার এক শিলেম করে তামাকের বরাদ ছিল। ক’খানি কাপড়ের অভাবে ক’টি শিশু ভাই-ভগ্নির মনের দুঃখ একদিকে তার প্রাণে যেমন আঘাত করছিল, অপর দিকে সেই তঁাতির বাড়ীতে স্তরে স্তরে কত রঙ্গীন তঁাতের কাপড় সে সাজানো দেখলে। সে তার প্রবৃত্তিকে আর দমন করে রাখতে পারলে না, সাঁঝের পর বাড়ী ফিরবার পথে সুযোগ দেখে ক’খানি কাপড় সে - হস্তগত করলে। সারারাত তার মনের ভিতর ভারি ধ্বস্তাধ্বন্তি চলল। পরদিন প্ৰত্যুষে তার কৰ্ম্মস্থলে যাবার পথে ভঁাতি - বুড়োর পায়ের উপর সে আবার কেঁদে পড়লে। ভঁাতি বুড়ো, তাকে নিস্কৃতি দেবে এই আশা দিয়ে, দশ জনের সমক্ষে তার স্বীকার উক্তিটি বের করে নিয়ে, তাকে পুলিশের হাতে হাওলা করে দিলে। সে হাজতে আবদ্ধ ছিল, কুমারীশের উপরই তার বিচারের ভার ন্যস্ত । . বড় নাতিটিই ছিল পরিবারের একমাত্র আশ্রয় স্থল, তার অভাবে - বিধবা পুত্ৰবধু আর তার কাটি আপগণ্ড শিশু-সন্তানকে নিয়ে বৃদ্ধ স্ত্রীলোকটির কষ্টের আর অবধি থাকত না। কুমারীশের উপর নাতির বিচারের ভার আছে জেনে, তার মুক্তির জন্য ঠাকুরমা বিজলীয় কাছ এসেই কেঁদে পড়ল। আইন বিজলী বুঝত না, আর বোঝবার প্রবৃত্তিও