পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা নববর্ষ ৪১ কোনও প্রাচীন ব্যক্তি ৯০ বৎসর বয়সে এমন একটা রােগের দ্বারা আক্রান্ত হন যার নাম তিনি জীবনে কখন শশানেন নি, এবং সেই একই কারণে সে রােগের ঔষধের কোন তল্লাস তিনি সমস্ত বৈদ্যশাস্ত্র তন্ন তন্ন করে খুজেও পান নি। কোন আধুনিক ডাক্তার তঁার জন্যে ইংরেজী ঔষধের ব্যবস্থা করায় তিনি বলেছিলেন, “বাপু হে! আজকালকার ওষুধগুলো দিয়ে আমার প্রাচীনত্ব নষ্ট কোরাে ”; তাইতে আধুনিক ডাক্তারটি উত্তর করেন,—“মশাই, আপনার প্রাচীনত্ব যাতে আরাে পাকা হতে পারে, অর্থাৎ আরও দশ বছর বেঁচে থেকে আপনি যাতে মরবার সময় বলে যেতে পারেন যে পুরাে পুরি century up করেছি, রি বন্দোবস্ত করছি। আমার নতুন ওষুধ আপনার প্রাচীনত্বকে আরাে প্রাচীন হবার অবসর দিচ্ছে মাত্র নষ্ট করছে না।” আমরাও প্রাচীনপন্থীদের ডাক্তারবাবুর মত- করে ভরসা দিচ্ছি, তাঁদের পুরাতন যাতে আনাভি-শুভ্র-শ্মশ্রুরাজী পরিশােভিত হয়ে যুগ যুগ ধরে আপনাকে পলে পলে, দণ্ডে দণ্ডে পুরাতন হতে পুরাতনতর করে তুলতে পারে, তারি চেষ্টা করছি। আর সেইজন্যেই পুরাতনের রাজদরবারে নূতনের দূতকে সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে এত ঘন ঘন পাঠান হচ্ছে ; এতে পুরাতনের রাজত্ব দৃঢ় হয়ে উঠবে, তার শক্তি আরাে অক্ষুন্ন হবে—এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। কবিবর দ্বিজেন্দ্রলাল আমাদের বলে গেছেন একটা নতুন কিছু করতে (অবশ্য ব্যঙ্গ করে)। এখানে নতুন কিছু” অর্থে সৃষ্টিছাড়া কিছু, অর্থাৎ যা জগতের কোনকিছুর সঙ্গে খাপ খায় না—একটা খাপছাড়া কিছু। আমাদের নুতন অবশ্য আদবেই তা নয়, বরং