পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫০

éste * ম : সবুজ পত্র - ২ কাৰ্ত্তিক ও অগ্রহায়ণ, ১৩৪* হল। যারা প্ৰাণে আশার সঞ্চার করা হল, তার আশা-ভঙ্গের অপরাধ আশঙ্কায় বিজলীর অন্তর যদিচ বড়ই সঙ্কুচিত হল, তবু স্বামীর কাছে কোন কথাটি জানাতে বিজলীর প্রবৃত্তি হল না। আরো তার মনে এই খেদ সন্মালে, বিশ্বমানবের চােখে যে তার বড়ই আপনি, তার প্রাণের নাগাল কোন দিনই সে পেল না। প্ৰাণের সম্বন্ধে যে তার এমনি পর, বাইরের পরিচয়ে তার যে সে কতদূর আপনার হয়ে আছে, এই চিন্তাটি আজ যেন বিজলীর অস্তিত্বের মূল পৰ্যন্ত ছেদন করতে উদ্যত হল। বে সঙ্গীদের চিন্তা বিজলীর মন থেকে মুহূৰ্ত্তের জন্য অন্তহিত হতু না, একটা বাড়ের আবৰ্ত্তে তার অন্তরে তাদের প্রতিবিম্বাও যেন আর পড়তে পাচ্ছিল না। সঙ্গিনীরা তখনও আসত। কিন্তু বিজলীর কেমন একটি ভাবান্তর দেখে অধিকক্ষণ তার সাহচৰ্য্য তারা আর বাঙ্কণীয় মনে করত না। আর বিজলীর কাছে বাইরের অস্তিত্বটা ত লোপ পেয়েছিল, DBB LLBB DuuDuDDB BDDDDDBB BBD DBD DS DB BBDDD আশা-ভঙ্গের অতি বিকট একটা করুণ ছবি বিভীষিকার মতো তার অন্তরে মুহূৰ্ত্তে মুহূৰ্ত্তে দেখা দিয়ে তাকে সন্ত্রস্ত করে তুলছিল। ৱিজলীর ঐ সন্ত্রস্তাভাব দিন দিন আরো বাড়তে লাগল। অবশেষে বিচারের নির্দিষ্ট তারিখে, একেবারে শেষ মুহূৰ্ত্তে, বিষম ধ্বস্তাধস্তির" ফলে ভিতরের প্রাণটিকে কিঞ্চিৎ যেন নুইয়ে এনে, বিজলী স্বামীয় : কাছে কোনক্রমে তার প্রাণের কথাটি ব্যক্ত করলে। কুমারীশ কোন ৷ কথাটি বললে না, নীরবে ঈষৎ অবজ্ঞার হাসি হাসলে। সে হাসিয় । মৰ্ম্ম বুঝি এই, পনেরো বৎসরের কঠোর সাধনার ফলে, যে পদে প্রতিষ্ঠিত হবার যোগ্যতা আমি লাভ করেছি, আর যে পদেয় । কঠিন কৰ্ত্তব্য পালনে রত থেকে আমি তার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, -