পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४३ वर्ष, मधब ७ अटैम नरथा बांडण डांवांब कूगौ করেন না, এর চর্চায় এক অপূর্ব আনন্দ পান। ইউরোপের লোকেরা তঁাদের ভাষায় কিছুই গুপ্ত অজ্ঞাত থাকতে দেন নি-ইংরিজি, ফরাসী । জৰ্ম্মান প্রভূতিতে যা কাজ হ’য়েছে, তার শতাংশের এক অংশও আমাদের দেশ-ভাষাগুলিতে হয় নি। অথচ আমাদের দেশের ভাষাগত সমস্যাগুলি আরও জটিল। জমি বিস্তর প’ড়ে রয়েছে, আবাদ করবার লোক চাই। যারা এদেশের ভাষাতত্ত্ব নিয়ে কাজ ক’রছেন, তঁাদের মধ্যে দেশী লোক খুবই কম। বাঙলা-ভাষার কথা ধারা আধুনিক রীতিতে আলোচনা ক’রছেন, এক আঙুলে গুণে র্তাদের সংখ্যা শেষ ক’রতে হয় । কিন্তু এ সব কাজে ডাকাডাকি ক’রে লোক সংগ্ৰহ ক’য়তে পারা যায় না-যে মনে মনে এর টান অনুভব করে সেই লেগে যায় আর সে-ই বেশী কাজ করে। কিন্তু তবুও কার মনে কোথায় এ বিদ্যার দিকে একটু প্ৰবণতা প্রচ্ছন্ন রয়েছে, সেটা চাপা পড়বার পূর্বেই জীইয়ে’ রাখবার চেষ্টা করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে ফল হ’তে পারে। সেটি করবার একমাত্র উপায়,-গোড়া থেকেই এই বিদ্যার সঙ্গে একটু পরিচয়-যাতে জানবার শোনাবার শেখাবার আগ্ৰহ জোগে ওঠে। অর্থাৎ বাঙালীর ছেলে যখন ইস্কুলের উচু শ্রেণীতে পড়ে, তখন । বাঙলা ভাষার ইতিহাস সম্বন্ধে কতকগুলি মোটা জ্ঞান তার পাওয়া উচিত। এটা ক’রতে পারলে এই অত্যাবশ্যক বিষয়ে কাজ করবার জন্য রিস্ফুট পাওয়া সহজ হয়-আর দেশের মধ্যে নিজের ঘরের সম্বন্ধে জ্ঞানবৃদ্ধিরও সহায়তা হয়। আপনাকে না জানলে অপরকে জানিবার ক্ষমতা জন্মে না । , ভাষাতত্ত্ব, বিশেষ করে ভারতবর্ষের আর্য্যভাষাগুলির ভাষাতত্ব সালোচনা করতে করতে দেখি যে, আমাদের অনেক পুর্ব-সংস্কার আর