পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Dee - iš u sve sast, »est বিশ্বাস ঘা খায়। সকল পুরানো জাতির বংশধর বা সভ্যতার উত্তরধিকারী নিজের আভিজাত্য সম্বন্ধে একটা স্পৰ্দ্ধ রাখে। ইটালীর লোকেরা মনে করে, তারা বিশ্ববিজয়ী রোমানদের সন্তান ; গ্রীসের লোকেদের বিশ্বাস যে তারা লেওনিদাস সোক্রোতেস-এর জাতি,- তারা যে সুভ বংশের লোক, গ্রীসে এসে” গ্রীক জাতির ভাষা আর সভ্যতা নিয়েছে সেকথাটা ব’ললেই তারা চ”টে যায়। সব জায়গায় দেখা যায় যে, নিজের জাতি সম্বন্ধে একটা না একটা সংস্কার জাগ্রত রয়েছে। সত্যের অনুসন্ধান ক’রতে হ’লে এসকল সংস্কারের উপরে উঠতে হবে। কুক্ষণে এদেশে বিলেত থেকে নোতুন ক’রে ‘আৰ্য’ শব্দের আমদানী হয়েছিল; মাক্সমুলারের লেখা পড়ে, আর নব্য হিন্দুয়ানীর দলের বিজ্ঞানের আর ইতিহাসের বদহজমের ফলে, একটা নোতুন গোঁড়ামি এসে আমাদের ঘাড়ে চে’পেছে, সেটার নাম হচ্ছে “আৰ্য্যামি”। এই গোঁড়ামি আমাদের দেশে নানা স্থানে নানা মূৰ্ত্তি ধ’রেছে-স্বাধীন চিন্তার শত্রু এই বহুরূপী রাক্ষসকে নিপাত না করলে ইতিহাস চর্চা বা ভাষাতত্ত্বের আলোচনা-কোনটারই পথ নিরাপদ হয় না। এই গোড়ামির মূলসূত্র হচ্ছে এই— ১। যা-কিছু ভাল তা প্রাচীন আৰ্যদের মধ্যে ছিল (অথচ এই আৰ্য যে কারা, সে সম্বন্ধে কোনও জ্ঞান কারুর নেই-একটা আবছা! জাবুছন্ন রকমের ধারণা আছে যে মুসলমানদের আসবার পূর্বের কালের হিন্দুৱাই আৰ্য্য) ৷ ২ ৷ ‘ অতএব যা-কিছু খারাপ, সমস্তই আৰ্য্যেতর-“অনাৰ্য’। সংস্কৃত ভাষায় আৰ্য শব্দের যে মানে, ইংরেজি "Aryan-Air Ntr fồF VIÐ TIBI; non-Aryan-grå Vsef Mesa ‘অনাৰ্য দাড়া-করানোতে যত কিছু বিভ্ৰাট ঘটেছে। ৩। প্রাচীন হিন্দুরা