পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es সবুজ পত্ৰ কাৰ্ত্তিক ও অগ্রহায়ণ, ১৩২৫ ' ভাষায়, সাধারণত তিনটিতে ঠেকেছে। প্রাচীন দ্রাবিড়ে মোট দুটি কালবাচক রূপ ছিল, পরে আর কতকগুলির উদ্ভব হয়। ও-দিকে গ্রীসে রোমে কিন্তু প্ৰাচীন কালবাচক রূপের বিশেষ হানি হয় নি। দ্রাবিড়ে, কোলে আর ভোট-ব্ৰহ্মা ভাষায় prefix-এর হাঙ্গামা নেই, সবই suffix, আমাদের ভাষাগুলিতে তাই, কিন্তু বৈদিকে তা নয়। বৈদিকে preposition ছিল, সেগুলি সংস্কৃতে ক্রিয়ার সহিত সংযুক্ত উপসর্গ হ’য়ে দাড়িয়ে’ছে।'ত-ত্যুবৎ, প্ৰত্যয় দিয়ে’ ।তিঙন্ত ক্রিয়ার কাজে সারা ত সংস্কৃতে আর প্রাকৃতে সাধারণ । যেমন সঃ গতঃ, অশ্বম আরূঢ়বান। দ্রাবিড়েও ঠিক সেইটি দেখি । বৈদিকে তা নয়-স জগাম, অশ্বম অরুক্ষাৎ । বাঙলার যে অতীত আর ভবিষ্যতের প্রত্যয়, তা এই ‘ত' আর ‘তব্য’ থেকে হ’য়েছে, কোনও বৈদিক তিত্ত্ব থেকে নয়। এ ছাড়া, অনেক বাঙলা idiom-এ দ্রাবিড়ের ছাপ পাওয়া যায়। বাঙলায় অসমাপিক-ক্রিয়ার ঘাটা, সহায়ক-ক্রিয়ার ব্যবহার প্রভৃতি छ्त्रांद्र नांना प्ष्त्रऊि दांका-बौऊि झांदिफु उांबांद्र आठूषांौ । দ্রাবিড় শব্দ আধুনিক বাঙলায় অনেক আছে, আর সেগুলি একেবারে ঘরোয় শব্দ, যা লোকে বই পড়ে শেখে না, যা পরিবারে ধারাবাহিকরূপে চ’লে আসে । সংস্কৃতেও বিস্তর দ্রাবিড় শব্দ আছে। এ বিষয়ে কিছু আলোচনা হ’য়ে গেছে। Kittel-এর কন্নাড়ী ভাষার অভিধানের ভূমিকায় প্রায় ৪৫০ সাধারণ সংস্কৃত শব্দ দেওয়া আছে, যেগুলি দ্রাবিড় থেকে নেওয়া। এ ছাড়া শ্ৰীযুক্ত বিজয়চন্দ্র মজুমদার মহাশয়ও বাঙলা ভাষায় অনেক দ্রাবিড় কথা বের ক’রেছেন । এই সকল বিষয় বেশী উদাহরণ দিয়ে” বোঝাতে গেলে, পুথি 6वg७ पश्नि ।