পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*একতারা” । ( শ্ৰীদ্বিজেন্দ্ৰনারায়ণ বাগচী প্ৰণীত ) দরদীর আঙুলের স্পর্শে একতারা যে সেতারকেও হার মানাতে পারে, দ্বিজেনবাবু তা দেখিয়েছেন-কিন্তু দাম্পত্য-প্রেমের স্বর বক্তৃতার সভায় যতই উচ্চ হোক না কেন, বিশ্ব-সাহিত্যের দরবারে তা এখনো মাথা নীচু করে আছে। এর কারণ আর কিছুই নয়, ও-সুর বড় বেশি সংকীর্ণ, বড় বেশি গা-ঘেঁসা । ও-সুরে যে-যন্ত্রী যত প্ৰাণপাশেই মুছানা দিন না কেন, অপরের হৃদয় তাতে মুর্চিস্থত হয় না। পদাবলীর সুর যে একদিন বিশ্বের মরমে পৌঁছেছিল, তার কারণ, অন্যত্ৰ যাই হোৱক, রস-সাহিত্যে পরকীয়া, পত্নীর চেয়ে বড়। সে পরকীয়া রাধাই হোন আর রজাকিনীই হোন। সোজা কথায় বলতে গেলে কবির পার্থিব প্ৰিয়া যে পরিমাণে । DB BB EBDL DD DBDD BBSYSLLB BDLD D DB Y রূপটি ধৰ্ম্মের রূপে মিলিয়ে যায়, সেই পরিমাণে তিনি বিশ্বের চোখে হুন্দর। তবে একথা জোর করে বলা যায় যে, যে তারে দাম্পত্যপ্ৰেম ক্ষুরিত, সেই তারেই কবি মাঝে মাঝে ব্যঞ্জনার বিদ্যুৎ এমন ভাবে সঞ্চারিত করতে পারেন যে, আমাদের সীমাবদ্ধ মন চুম্বকের যাক অসীমের দিকে ফিরে যায়, দ্বিজেনবাবুৱা ‘একতারায় সেই