পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ৫ম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা ৪৭ ভােলানো লেখা নয়। অতএব দাড়াল এই যে, প্রবন্ধের স্থান- সাহিত্যের না হােক—বাংলা সাহিত্যের বাইরে। তুমি একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছ, সে হচ্ছে এই যে, আমার প্রবন্ধ এদেশের অনেক পুরুষেও পড়ে না, পড়তে চায় না, পড়তে পারে না, এবং পড়লে কাতর হয়ে পড়ে”। এ ক্ষেত্রে প্রবন্ধ কার জন্য লেখা ? তার সন্ধান আমি সম্প্রতি পেয়েছি। কোনও সমালােচক লিখেছেন যে, আমার হাত থেকে যা বেরয় তা হচ্ছে সব “চকচকে খেলন”। অর্থাৎ আমার লেখা আসলে ছেলে ভােলানাে। এই সমালােচনাই প্রমাণ যে আমার লেখা সার্থক হয়েছে-কেননা বাংলাদেশে আমার লেখার খেদ্দেরের অভাব হবে না। সে যাই হােক, তােমার কথায় প্রবন্ধ লেখায় না হয় খতম দিলুম- তারপর কি লিখব ? কবিতা ? গদ্যের অসি ছেড়ে পথের বাঁশি ধরব। সাহিত্যের স্কুলে এরকম ডবল-প্রমোশন পেতে কার না লােভ হয়, কিন্তু এ বয়েসেও ও-লােভ যে সম্বরণ করতে না শিখেছে, তার হাত থেকে—অসি বাঁশী ত বড় জিনিস-কলমও কেড়ে নেওয়া উচিত! পঞ্চান্ন বৎসরের লােককেও যে ধরে বেঁধে অসিধারী করা যায়, তার প্রমান ত আজ নানাদেশে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু Conscrip- tion-এর সাহায্যে মানুষকে যে বংশীধারী করা যায়, এর প্রমাণ আজও মেলে নি। এর কারণ হিংসা করবার ক্ষমতা বুড়ােহাড়েও থাকে, কিন্তু আনন্দ দেবার শক্তি যৌবনেরই সহােদর। দেখাে, কে কি লিখবে তার চেয়ে গুরুতর সমস্যা হচ্ছে কে কি পড়বে। তুমি কি পড়ে এই গ্রীষ্মের ছুটি কাটাবে, সে বিষয়ে আমার