পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GS e সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২৫ কিন্তু নারীও যে পুরুষের মতো এ জগতের বুকে খোলা চোখে, মুক্ত মনে বিচরণ করবে, এটা এত সাদা রকমের সত্য যে, এর কোন যুক্তি খুঁজে পাইনে। আসলে যখন সত্যকে যুক্তি দিয়ে দাড় করাই, তখনই সত্যকে খাটো করি । সত্য সব সময়েই নিজগুণেই अOJ | অবরোধকে চিরন্তন করে’ রাখবার জন্যে যারা অনেক অনেক যুক্তি দেন, তঁদের একটা যুক্তি কেবল একটু প্ৰণিধানযোগ্য। তারা বলেন যে, অবরোধের ঐ পাথরের মুঠোকে আলগা করলে, সমাজে বিশৃঙ্খলা বাড়বে—চরিত্রহীনতা বাড়বে। প্রথমত-এ যুক্তির বিরুদ্ধে প্ৰমাণ আছে। এই ভারতবর্ষেই তামিল বলে’ এক জাতি আছে। কি হিন্দু, কি ক্রিশ্চিয়ান তাদের নারী-সমাজে। অবরোধ প্ৰথা নেই। কিন্তু তাই বলে’ তাদের সমাজ ব্যভিচারের স্রোতে ভেসে যায় নি—তাদের সমাজ বিশৃঙ্খলায় ত উশৃঙ্খল হ’য়ে ওঠে নি। দ্বিতীয়ত-মানুষকে যতটা প্ৰকৃতিগত উশৃঙ্খল বলে ধরে” নেইমানুষ ঠিক ততটা উশৃঙ্খল নয়। মানুষের দেহ ছাড়িয়ে প্রাণ, প্ৰাণ ছাড়িয়ে মন, মন ছাড়িয়ে আত্মা। মানুষ তার দেহ থেকে যাত্রা সুরু করে আত্মার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজকার মানুষ প্রায় মনের কাছাকাছি এসে পৌছেচে। এই মনকে শিক্ষা দিয়ে শিষ্ট করা যায়। আর এই মনকে শিক্ষা দিয়ে স্ত্রী-পুরুষকে চরিত্রবান করাই হচ্ছে পাকা কাজ। স্ত্রী-পুরুষকে আলাদা রেখে তাদের চরিত্রবান করা হচ্ছে গোজামিল। গোজামিলের পক্ষপাতী যারা, তাজা মন তাদের কোন দিনই লাভ হবে না। তবে পুরুষের মধ্যে শতকরা