পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম , প্রথম স্যা পত্র পরিচয় পাওয়া যায়। সংস্কৃত সাহিত্যে এই সূত্রে sentimentalism প্রবেশ লাভ করে। ইতিহাস ছেড়ে দিয়ে যথার্থ কাব্যের রাজ্যে এলেও আমরা ঐ একই সত্যের পরিচয় পাই যে—সংস্কৃত কাব্য যত প্রাচীন তত টনিক, এবং যত অর্বাচীন তত অস্বাস্থ্যকর। ভাসের নাটকের সঙ্গে জয়দেবের পদাবলীর তুলনা করলে এ সত্য সকলের কাছেই প্রত্যক্ষ হয়ে উঠবে। সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিমধ্যের ইতিহাস এই অধঃপতনের ইতিহাস। যুগের পর যুগে তার দুর্বলতা যে উত্তরােত্তর বেড়েই চলেছে, একই শ্রেণীর পূর্বাপর কাব্যের তুলনা করলে তার প্রমাণ অসংখ্য পাওয়া যায়। শকুন্তলার রসের সঙ্গে উত্তররাম চরিতের রসের সেই প্রভেদ, হৃদয়ের রক্তের সঙ্গে চোখের জলের যে প্রভেদ। অমরুশতক মকরধ্বজ কি জানি নে—কিন্তু ভর্তৃহরির শতকের প্রতি শ্লোক যে stiychnine- এর পিল তাতে আর সন্দেহ নেই। এক কথায় মন্দাকিনীর জল টনিক, ভোগবতীর নয়। আর সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীন কাব্যের সঙ্গে অর্বাচীন কাব্যের সেই প্রভেদ, মন্দাকিনীর সঙ্গে ভােগবতীর যে প্রভেদ। আমার কথা ভুল বুঝোনা। আমি এ কথা বলতে চাইনে যে, যে লেখা টনিক নয় তা সাহিত্য নয়। তাহলে ত বাংলা ভাষায় বারো আনা লেখা সাহিত্যের বাইরে পড়ে যায়। আমার বক্তব্য এই যে, যে সাহিত্য টনিক নয়—মহামারীর প্রকোপের ভিতর তার পঠন পাঠন সমীচীন নয় ; অবশ্য যদি গেটের মত আমরা মান্য করি। আমি নিজে যে ও মত সম্পূর্ণ গ্রাহ্য করি নে, তার প্রমাণ, যুদ্ধের নাম শােনবামাত্রই, প্রথম কথা যা আমার মনে পড়ে গেল, সে হচ্ছে