পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S23\2 সবুজ পত্ৰ ফাস্তুন, ১৩২৫ একই “বহুধা।” বিভাতি” । বিপ্রেরা “সৎ’ হইলেই তা দেখিতে পাইতেন, সত্যানুসন্ধানেও সততার প্রয়োজন আছে, যুক্তির ধারা যেখানে লইয়া যাইবে সে স্থান মনোমত না হইলেও সেই সমস্ত পথ অতিবাহন করিবার জন্য যে প্ৰস্তুত থাকার ভাব, তা হচ্ছে intellectual honesty এবং সততা সর্বত্রই যে সব চেয়ে ভালো নীতি, 6९ (2८ &3 व् । ( ७ ) সেই ভারতবর্ষে ইস্কুলমাষ্টার ছিল না, ছিল গুরু। “ইস্কুলমাষ্টার” আর “ইস্কুলবয়ের” সমবেত প্রার্থনা ছিল—“সহ নাববতু, সহ নৌ ভুনাক্ত সহাবীৰ্য্যং করবাবহৈ, মা চিদ্বিষাবহৈ৷” অদৃষ্টের পরিহাসক্ৰমে আমাদেরই এখানে বর্তমান সিষ্টেমের সুর ইহার ঠিক উল্টা । “সহ নাবিবতু”-গুরু এবং ছাত্র একে অন্যকে যেন রক্ষা করি, কেবল বিদ্যাদান ও বিদ্যাগ্ৰহণ নয়, যে গ্ৰহীতা সেও উত্তমণ-গুরু, শিস্য হইতে স্বতন্ত্র স্বয়ংসিদ্ধ এক অপূর্ব জীব নহেন, তারও সাধনা ছাত্রকে লইয়া, তাকে ছাড়িয়া তার সিদ্ধি নাই, সেই কারণেই তঁার যে মাহিয়ানা তা ছিল নিতান্তই আধ্যাত্মিক-অর্থাৎ চৰ্ম্মচক্ষে তা দেখিবার জো ছিল না । ফ্যাক্টরিতে শ্রমজীবী যে জিনিসগুলি বানায়, বৎসরের পর বৎসর কঠোর পরিশ্রমের ফলগুলি তার ক্লান্ত হাত হইতে গড়াইয়া বস্তাবন্দী হইয়া দিগ বিদিকে চলিয়া যায়। ফ্যাক্টরির শ্রমজীবীর কৃতকাৰ্য্যতার মধ্যে আনন্দ কোথায় ? ইস্কুলমাষ্টারের কৃতকাৰ্য্যতাও যা, অকৃতকাৰ্য্যতাও তা । কিন্তু গুরু ছিলেন একটি মহীরুহ, আর