পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্র বৈশাখ, ১৩২৫ যে তা অনুবাদ করবার লােভ সম্বরণ করা,কঠিন কিন্তু এখন তার সময় নেই। সে বর্ণনা তুমি জাতকমালায় পড়ে দেখাে। এই ঝড়ের মধ্যে সাংঘাত্রিকেরা কে কি করলেন শােনাে- নিজ নিজ সত্ত্বগুণ অনুসারে কেউ বা ত্ৰাসীন হয়ে পড়ল, কেউ বা বিষাদমুক, কেউ বা দেবতার নিকট প্রাণ যাজ্ঞা করূতে লাগল, কেউ বা ধীরভাবে অবস্থিতি করতে লাগল, কেউ বা প্রতিকারের চেষ্টায় ব্যাপৃত হল।” তখন যারা ভয়বিষাদে ব্যাকুল হয়ে পড়েছিল সুপারগ তাদের সম্বােধন করে বললেন- “যায় মহাসমুদ্রে অবতরণ করে তাদের কাছে এইরূপ ঔৎপাতিকক্ষোভ পরিক্লেশ মোটেই আশ্চৰ্যজনক ঘটনা নয় ;-অতএব তােমরা বৃথা বিষাদকে আশ্রয় করে না। বিষাদ, বিপদের প্রতিকারবিধি নয়—সুতরাং দীনচেতা হওয়ায় কোনও লাভ নেই। যারা ধীর কেবলমাত্র তারাই কাৰ্য্যউদ্ধারে দক্ষ, কেন না তারা কৃচ্ছসাধনের দ্বারা কৃচ্ছ অবস্থা হতে উদ্ধারলাভ করে। তােমরা সকলে বিষাদ দৈন্য পরিহার করে এ বিপদ হতে যাতে উদ্ধার পাওয়া যায় সেই সকল কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করে। যে প্রাজ্ঞ তার ধৈৰ্যজলিত তেজ সৰ্বার্থসিদ্ধি লাভে অগ্রহস্ত। ঝড় কিন্তু উত্তরােত্তর প্রচণ্ড হতে প্রচণ্ডতর হয়ে উঠল শেষে যখন সকলে প্রাণের আশা ত্যাগ করতে বাধ্য হল তখন সাংবাৱিকেরা “কেউ বা রােদন করতে লাগল, কেউ বা কখন বিলাপ, কখন চিৎকার কতে লাগল, কেউ বা ভয়ে জ্ঞানশূন্য হয়ে জড় পদার্থের মত অবস্থিতি করতে লাগল, কেউ বা ভয়কাতরচিত্তে ইন্দ্রকে প্রণাম করতে লাগল, কেউ বা আদিত্যকে কেউ বা বসুকে কেউ ৰা বায়ুকে কেউ বা সমুদ্রকে। কেউ বা মন্ত্র জপ করতে প্রবৃত্ত হ’ল, অপর অনেকে বিচিত্র আকারে বিধিমত প্রকারে