পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*iदल-विल। 艺#> পাটেল-বিল সম্বন্ধে যে দেশব্যাপী আন্দোলন উঠেছে, তার ফলে আমার ক্ষুদ্রবুদ্ধিতে যে-ক'টি কথা উদয় হয়েছে, সেগুলি পরিষ্কার করে” লেখবার ইচ্ছা হতে এই প্ৰবন্ধ প্ৰসূত । প্ৰথমেই বলে রাখি আমি সে বিলের ধারাগুলি চোখে দেখিনি ; শুধু কানে শুনে শুনে এইটুকু বুঝেছি যে, সেটি হচ্ছে অসবৰ্ণ হিন্দু-বিবাহকে আইনসিদ্ধ করবার একটি পাণ্ডুলিপি। ত’তেই যখন এত গোলযোগ উপস্থিত, তখন ইংরাজ-রাজ অসবর্ণ বিবাহ অবশ্যকীৰ্ত্তব্য বলে’ আইন জারি করতে উদ্যত হলে না জানি কি হ’ত ! অনুজ্ঞা এবং অনুমতির প্ৰভেদ কি এতই সূক্ষম ? বিদ্যাসাগর মহাশয়ও ত বিধবা-বিবাহকে শাস্ত্রসম্মত প্ৰমাণান্তে আইনসঙ্গত করে” গেছেন, কিন্তু তার ফলে হিন্দুসমাজে ক'টা বিধবা-বিবাহ হয়েছে ?-জাতিভেদবুদ্ধি ও পূর্বসংস্কার আমাদের এতই মজ্জাগত যে, বাইরের নিষেধ রহিত হলেও, ভিতরের অপ্ৰবৃত্তি যে শীঘ্ৰ প্ৰবৃত্তিতে পরিণত হবে, সে ভয়ও নেই, সে ভরসাও নেই! তবে যে জনসাধারণে এই অনুমতির প্রস্তাবনায় এত বিচলিত হয়ে পড়েছে, তার কারণ, বিবাহসম্বন্ধই সমাজের মূলভিত্তি, তারই নিয়মে সমাজ “বিধৃতস্তিষ্ঠতি”। তাই বিবাহের প্রচলিত প্রথায় একটুও ঢিলে পড়বার কথা শুনলেই সামাজিক জীবের মন স্বভাবতঃই চঞ্চল হয়ে ওঠে,-কাৰ্য্যকারণ-জ্ঞান তখন আর ততটা টনটনে থাকে না । আমার মনে হয় বিবাহসম্বন্ধকে তিন দিক থেকে মিলিয়ে দেখলে