পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ ব, প্রথম সংখ্যা পত্র 01 দেৰীকে প্রণাম করতে লাগল। কেউ বা সুপারগের নিকট উপস্থিত হয়ে তার কাছে অংক্ষেপ কতে লাগল।” এই ব্যাপার দেখে অপারগ সাংঘাত্রিকদের সম্বােধন করে বললেন “তােমরা মুহূর্তের জন্য ধৈৰ্য্য ধরে থাকো উদ্ধারের একটা উপায়ের কথা আমার মনে হয়েছে।” এই বলে তিনি দক্ষিণ জানু নৌকাবকে স্থাপন করে নৌকাকে প্রণাম করে এই শ্লোক উচ্চারণ করলেন- “আমি আমার আত্মাকে যতই স্মরণ করছি, ততই আমার স্মরণ হচ্ছে যে যত দিন থেকে আমার জ্ঞান হয়েছে, আমি কখনও প্রাণীহিংসার চিন্তাও মনের মধ্যে স্থান দিই নি। এই সত্যবাক্যবলে ও আমার সেই পুণ্যের বলে এই নৌকা বড়বার মুখহতে প্রতিনিবৃত্ত হউক। অমনি বায়ুর বেগ মন্দীভূত হল, নৌকা বড়বার মুখ হতে প্রতি নিবৃত্ত হয়ে, মহাসমুদ্রের বক্ষে, নির্মল আকাশে রাজহংসীর মত শােভা পেতে লাগল। সাহিত্য এর চাইতে আর কত বেশী টনিক হতে পারে ? এই যুদ্ধের ঝড় যদি ভারতবর্ষের ঘাড়ে এসে পড়ে, তাহলে ভারতবাসীদের অবস্থা যে ঐ সাংঘাত্রিকদের মতই হবে, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। তবে প্রশ্ন হচ্ছে এই যে, আমাদের কপালে অমন সুপারগ মিলবে কি না? আজ এইখানেই শেষ করি। অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে। ২৬শে এপ্রিল ১৯১৮ বীরবল।