পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গরু পত্র বৈশাখ, ১৪২৫ এ ব্যাপারে একমাত্র প্রতিবাদী হয়েছিল বাংলা। কংগ্রেসের গ্রনরুমে যাদের প্রবেশাধিকার আছে তারাই জানেন যে, সেখানে কোনও বাঙ্গালী, কংগ্রেস লীগের দুহাতে গড়া স্বরাজ মাথা পেতে নিতে পারেন নি ; কেননা তা গ্রাহ করে নেবার কোনও বৈধ কারণ নেই। স্বরাজের প্রথম অরজি বড়লাট সভার উনিশ জন দেশীসভ্য দস্তখত করে ভারত- গভর্ণমেন্টের নিকট পেশ করেন। সে আরজি অবশ্য একটা খসড়া বই আর কিছুই নয়, কেননা সে আরজি রাতারাতি তৈরি করতে হয়েছিল, সবদিক ভেবেচিন্তে একটা পাকা দলিল তৈরি করবার তাদের অবসর ছিল না ; অন্ততঃ এই ত তাদের কৈফিয়ৎ। সেই খসড়াই একটু আধটু বদলদল করে নিয়ে কংগ্রেস-লীগ আত্মসাৎ করেছেন। সুতরাং এ দুয়ের প্রভেদ যা, তা উনিশ বিশ। অথচ কংগ্রেস এই জিনিসই শিরোধার্য্য করে নিলেন,; শুধু তাই নয়, আমাদের বােঝাতে চেষ্টা করলেন যে এমনটি আর হয় নি, হবে না, হতে পারে না। সূত্রে শ্ৰীযুক্ত বাল গঙ্গাধর তিলক রাজনৈতিক দর্শনের একটি মূতন তত্ত্ব আমাদের শিক্ষা দেবার প্রয়াস পেয়েছিলেন। তিনি কংগ্রেসের উচ্চমঞ্চে দাঁড়িয়ে ঝাড়া একঘণ্টা ধরে আমাদের মনে এই কথা বসিয়ে দেবার চেষ্টা করলেন যে,-মানুষে যখন তার বাসগৃহ তৈরি করে, তখন সে গৃহ ভি থেকে গেঁথে তুলতে হয়; কিন্তু কোনও জাতি যখন তার বাসগৃহ তৈরি করুতে চায়, তখন সে গৃহ ছাদ থেকে গেঁথে নামাতে হয়। আমাদের পলিটিকাল আশা গােড়াতে অত উচ্চ না হলেও ক্ষতি নেই। অপর কোনও ক্ষেত্রে অপর কোনও ব্যক্তি এ রকম কথা বললে আমরা তা রসিকতা মনে করতে পারতুম। কিন্তু এ রসিকতা নয় -এ হচ্ছে সেকেলে পলিটিকসের একটা মােটা কথা ;