পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 oby সবুজ পত্ৰ bख, »७२e অতুলনীয়। কিন্তু মানুষের উপর তার আধ্যামির আঘাতও কম প্ৰচণ্ড নয়। আৰ্য-রোম অনাৰ্য্য-কার্থেজকে একবারে ধূলা না করে” তৃপ্ত হয় নাই, অর্থাৎ অন্য একটা সভ্যতাকে একবারে ধ্বংশ না করে” নিজের সভ্যতাকে বজায় রাখবার কোনও পথ সে খুজে পায় নি । যে হিন্দু আৰ্য্য ওষধি ও বনস্পতিতে বিশ্বপ্ৰাণের স্পন্দন উপলব্ধি করেছে, “দসু্য” ও “রাক্ষসের’ প্ৰাণের উপর সেও কোনও মায়া দেখাই নি। আধুনিক যুরোপীয় আৰ্য দুটি মহাদেশ থেকে সেখানকার অনাৰ্য্য অধিবাসীদের একেবারে মুছে ফেলেছে, এবং আর একটা মহাদেশ থেকেও মুছে ফেলবার চেষ্টায় আছে। এ চেষ্টার সমর্থনে যুক্তির অবশ্য অভাব নেই। এই উচ্ছেদ ও ধ্বংশ না হ’লে যে আধুনিক আৰ্যসভ্যতার গৌরব, তার বিকাশই হতে পারত না। এই গরীয়সী সভ্যতাকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দেওয়াই হ’ল ধৰ্ম্ম। এবং যাদের রক্তের মধ্যে এই সভ্যতা রয়েছে তাদের সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া ছাড়া এর অন্য কোনও উপায় নেই। তাতে যদি অন্য সব জাতিকে পৃথিবী ছেড়ে গিয়েও এর যায়গা করে” দিতে হয় মানবজাতির পক্ষে সেও মঙ্গল। লক্ষণের কাছে অগস্ত্য-ঋষির পরিচয় দিতে রামচন্দ্ৰ ভঁাকে ‘পুণ্যকৰ্ম্মা’ বলে উল্লেখ করেছেন, কেননা তার ত্ৰাসে দক্ষিণদিকে “রক্ষসেরা” পা বাড়াতে সাহস না করায় সে। দিকটা “লোকদের” বাসের উপযুক্ত হয়েছে। এবং এ যুক্তির উত্তর দেওয়াও কঠিন। কেননা যা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে যা ঘটে নি তাকে ওজনে তোলা চলে না। বর্তমান আৰ্যসভ্যতা না গড়ে উঠলে আৰ্যঅনাৰ্য্য মিশাল সভ্যতা কি রকমের হ’ত, কি তেমন কোনও সভ্যতা সৃষ্টি হতে পারত কি না। এ তর্ক এখন তোলা একবারেই নিস্ফল,