পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

● , रकाशैिभि o Q কারণ এর কোনও রকম মীমাংসার সুদূর সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু শ্ৰেষ্ঠত্বের উপর আধিপত্য ও উচ্ছেদের দাবীটা যে কত আচল, মানুষের সভ্যতার গোটা ইতিহাসটাই তার প্রমাণ । এ দাবীর cशाङ्कृांद्र কল্পনা হ’ল এই যে, যে জাতি একবার বড় হয়ে উঠেছে সে। চিরকালই বড় থাকবে, এবং আর কেউ বড় হয়ে উঠতে পারবে না । অথচ যে সব জাতির পর জাতি এতকাল ধরে” মানুষের সভ্যতাকে কখনও ধীরে কখনও দ্রুত গড়ে তুলেছে তাদের কেউ কারও বংশধর নয়। আজই কি হঠাৎ মানুষের সভ্যতায় এই ধ্বংশ ও সৃষ্টির লীলা থেমে গেল ! অথচ চিরকালই ত যে মাথায় উঠেছে সেই মনে ‘করেছে সে একেবারে অচ্যুত। এবং পূর্ব পূর্ব শ্রেষ্ঠ জাতির পতন হলেও তার যে কেন সেটা ঘটবে? না তার কারণ খুজে বের করতে কারও কখনও কষ্ট হয় নি। প্ৰতিদিন জীব যম-মন্দিরে যাচ্ছে দেখেও অমরত্বের কল্পনা আশ্চৰ্য্য সন্দেই নেই, কিন্তু আরও বেশি। আশ্চৰ্য্য এই কল্পনা যে, যারা বেঁচে আছে তারা যে কেবল অমর হবে তা নয়, কিন্তু আর নতুন কারও জন্মও হবে না। ( . ) আৰ্য্যত্বের ‘আৰ্য্যামি” এতক্ষণ যা বর্ণনা করেছি। সে হ’ল তার একটা মাত্র দিক। কেননা ব্ৰহ্মের। যেমন দুইরূপ, এ আৰ্য্যামিরও তেমনি দুই মূৰ্ত্তি ; সগুণ ও নিগুণ, ক্রিয়াশীল ও নিক্রিয়। বলা বাহুল্য যে, বৰ্ত্তমানে এর প্রথমটির বিকাশ হয়েছে য়ুরোপের আর্য্য-সমাজে, দ্বিতীয়টির পূর্ণ প্ৰকাশ আৰ্যভূমি ভারতবর্ষে। পশ্চিম শাখাটি দাবী