পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●: <, 1 ट्र्थ}|,ि SS যারা পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ ও প্রবল, তারা ট্যাসিটাসের জন্মাণেরই বংশধর। তখন দাড়ি টেনেছিলেন বলে’ ট্যাসিটাসের ঠিকে যদি ভুল হয়ে থাকে, তবে এখন দাড়ি টেনে স্টয়ার্ট চেম্বারলেইন-এর ঠিকই বা শুদ্ধ হবার সম্ভাবনা কোথায় ! আর শ্রেষ্ঠত্ব, তার অর্থ যাই হোক, যদি প্ৰভুত্বের নিয়োগপত্র হয়, তবে তার শেষ কোথায় ? আৰ্য্যত্ব এমন কি যুরোপীয় আৰ্য্যত্বের সীমায় এসেই বা তার গতি রোধ হবে কেন ? শ্রেষ্ঠের মধ্যেও শ্রেষ্ঠতমের দাবী কেনই বা না চলবে ! কেননা, ‘আৰ্য্যামি” ভেদেরি মন্ত্র, মৈত্রীর বন্ধন নয়। শোনা যাচ্ছে যে বৰ্ত্তমান যুদ্ধ আরম্ভ হবার পরেই ফ্রান্সের নৃ-তত্ত্ববিদ পণ্ডিতেরা প্রমাণ করেছেন যে, প্রশ্নশিয়ানরা মোটেই আৰ্য্যজাতির লোক নয়, তারা য়ুরোপের প্রস্তর যুগের অধিবাসিদের একবারে অবিমিশ্ৰ বংশধর। এবং সে যুগের যে সব মাথার খুলি পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে বৰ্ত্তমান কালের যে মাথার সব চেয়ে আশ্চৰ্য্যজনক মিল, সে হচ্ছে প্ৰিন্স বিসমার্কের মাথা । মানুষের সভ্যতা যারা গড়ে তুলেছেন, তঁরা সবাই অসাধারণ মানুষ । কিন্তু কোনও বিশেষ বংশ, কুল বা জাতি থেকে তঁরা আসেন । নি। এবং নিজের বংশ, কুল বা জাতির সঙ্গে তাদের যে মিল তার চেয়ে অনেক বেশি মিল পরস্পরের সঙ্গে। প্ৰকৃতির এই যে ইঙ্গিত, এই হ’ল মানুষের মিলনের সত্য পথের ইঙ্গিত । বংশ, কুল, জাতি কিছুই অসত্য নয়, কিন্তু সে সত্য হ’ল ব্যবহারিক। এরা কাজ চালাবার উপায়, কিন্তু মৈত্রীর সম্বন্ধ কাজের সম্বন্ধ নয়। এই কাজ চালাবার দলকে ধরে” মানুষের মধ্যে মৈত্রীস্থাপনের চেষ্টা পণ্ডশ্ৰম। কেননা দলের সঙ্গে দলের সম্বন্ধ সব সময়েই থাকবে কাজের সম্বন্ধ, সে ‘অ্যালায়েন্স’ই হোক, ‘অ’তাত’ই হোক, আর ‘লীগ অব নেশন’ই