পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ সবুজ পত্র জ্যৈষ্ঠ, ১৩২ হইয়া অন্য রকম হইলেও একবারে অচল হয় না এমন কথাও ইহার। বলিতে সুরু করিয়াছে। এ সকলি যে বাহুল্য শিক্ষার বিত্ত্বত ফল তাহাতে সন্দেহ মাত্র নাই। ( ৪ ) দেশের লােক বলে, এবং বলিতে সাহস না করিলে মনে ভাবে, শিক্ষাটা যে কেবল বর্তমানকে লক্ষ্য করিয়াই দিতে হইবে সেই বা কোন স্থিরসিদ্ধান্ত। বর্তমানে আমরা ছােট কিন্তু ভবিষ্যতে বড় হইবার আকাঙক্ষা রাখি। শিক্ষাটা সেই ঈপ্সিত ভবিষ্যতের অনুকুল করিয়াই আরম্ভ হােক না। আর জীবিকার জন্য যে টুকু দরকার শিক্ষার পরিমাণ যে, ঠিক সেই টুকুই হইবে এ ব্যবস্থা ত অপর কোন দেশে দেখা যায় না। আমাদের শাসক সম্প্রদায়ের অনেকেই নিজের দেশে যে শিক্ষা পাইয়া আসেন, প্রাচীন গ্রীস রােমের সাহিত্য ইতিহাসই ত তাহার প্রধান উপকরণ। এদেশে যে কাজে তাহাদের জীবিকা অর্জন হইতেছে সে কাজে ঐ শিক্ষা কতটা সাহায্য করে এ প্রশ্ন সহজেই মনে আসে। অফিসের বাহিরেও কেরাণী কেরাণীই থাকিবে এত বড় দাবী স্বীকার করিয়া লওয়া ত সহজ নয় ! প্রজার সঙ্গে রাজকর্মচারীদের এ দেশের উপযােগী শিক্ষার আদর্শের এই প্রভেদ, ইহাই হইল আমাদের শিক্ষার প্রথম সমস্যা; যাকে বলা যায় শিক্ষার রাজনৈতিক সমস্যা। রাজপুরুষেরা দেখেন আমাদের বর্তমান, আমরা ভাবি আমাদের ভবিষ্যৎ। তাঁরা চান সেই শিক্ষা যেটা বর্তমান শাসনরীতি ও অন্যান্য নীতির অনুকূল। আমরা