পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্র জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৫ দাড় করান মাত্র। আমাদের সে যুগের শ্রেষ্ঠ লেখকেরাও য়ুরােপীয় জ্ঞানে বিজ্ঞানের অতি সাধারণকথা ইংরেজি পুথি হইতে সঙ্কলন করিয়া প্রকাশ করিতে কিছুমাত্র দ্বিধা করিতেন না। সে যুগই ছিল প্রচারের যুগ। বঙ্কিমের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের কথা আজ আমরা ভুলিয়া গিয়াছি। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের এই সব অতি সাধারণ কথার সংগ্রহও বাঙ্গালী সেদিন ‘বিষ বৃক্ষের লেখনীর অযােগ্য মনে করে নাই। এদেশে ইংরেজি শিক্ষার সর্বপ্রথম যুগে যে অতি-মানুষ- বাঙ্গালী, প্রাচ্য সভ্যতার শিখরে দাড়াইয়া মােহহীন চক্ষুতে পশ্চিমের সভ্যতাকে পরীক্ষা করিয়াছিলেন, নিজের জাতির সম্পর্কে আধুনিক য়ুরােপের জ্ঞান বিজ্ঞানের উপর ভর কোথায় লােভ ছিল তাহার পরিষ্কার ইঙ্গিত তিনি রাখিয়া গিয়াছেন। রাজা রামমােহন রায় এ দেশে ইংরেজি শিক্ষা প্রচলন সম্বন্ধে লর্ড আমহাষ্টকে যে পত্র লেখেন তাহাতে দুইটী কথা খুব সুস্পষ্ট। প্রথম বাঙ্গালী জাতির বুদ্ধি ও মানসিক ক্ষমতায় তিনি বিন্দুমাত্র সন্দেহ দেখান নাই। দেশে ইংরেজি শিক্ষা প্রচলনে তাহার লক্ষ্য ছিল বাঙ্গালীর বুদ্ধির ধারাকে এমন পথে প্রবাহিত করান যাতে জ্ঞানের ভূমি সরস ও উর্বর হয়। দ্বিতীয়ত তিনি চাহিয়াছিলেন য়ুরােপের জ্ঞান বিজ্ঞানের বৃক্ষটীকে শিকড়শুদ্ধ দেশের মাটিতে রােপণ করিতে ( ‘planting in Asia the arts and sciences of Modern Europe') opettaa optaton? 1678 রসে ও রৌদ্রে, এ দেশেই সে গাছে নব কিশলয় দেখা দিবে, মূতন ফুলে ও নূতন ফলে মানুষের সভ্যতার শােভা স্পদ বাড়াইবে। কিন্তু যে ইংরেজি শিক্ষা দেশে আর হইল তাহা রামমােহনের ঈপ্সিত