পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bb সবুজ পত্র জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৫ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলিতেছে সেই প্রথম কালের প্রাচীন শিক্ষা, প্রাণের সঙ্গে যার কোনও সম্মন্ধ নাই, কাঠের মুক্তি লইয়াই যার কারবার। বাঙ্গালীর মনের শক্তিকে জাগাইয়া তুলিয়া জ্ঞানের রাতে ছাড়িয়া দেওয়া যার লক্ষ্য নয়, যার উদ্দেশ্য হইল বাঙ্গালীকে ঘরে বসাইয়া জ্ঞান রাজ্যের, ছাপা ছবি তাহার চোখের সম্মুখে ধরিয়া রাখা। আজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকশালায় অল্প পাকের আগুনের প্রয়ােজন, কিন্তু তার হাতে কেবল আছে টিনের কৌটার তৈরীখাবার পরিবেশনের সরঞ্জাম। স্পষ্ট করিয়া বলিয়া ফেলাই ভাল এখনকার দিনে আমাদের বিশ্ব- বিদ্যালয়ের ছেলেদের জন্য রাজার দেশ হইতে যে সব অধ্যাপকের আমদানী হইতেছে তাহারা এ যুগে বাঙ্গলা দেশে যে শিক্ষার প্রয়োজন সে শিক্ষা দিবার অধিকারী নহেন। তাহার সহজ কারণ য়ুরােপের জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে তাদের প্রাণের যথার্থ যােগ নাই। কেন না য়ুরােপের চিন্তার রাজ্যে তারা কেহ ভাবুক নহেন, বিজ্ঞানের রাজ্যে কেহ কৰ্ম্মী নহেন। পাশ্চাত্য বিদ্যার ফেরিওয়ালাকেও গুরুর আসনে বসাইয়া যে দিন আমরা ফল পাইয়াছি সে যুগ চলিয়া গিয়াছে। এখন চাই শিল্পীর সঙ্গে সাক্ষাৎ পরিচয়। দেশী বা বিদেশী আজ বাঙ্গালীর আচাৰ্য্য হইবার কেবল তারই অধিকার, চিন্তার রাজ্যে যিনি নূতন ভাবনা ভাবিতে পারেন, জ্ঞানের আকাশে নূতন আলাে যার চোখে পড়ে। এই আচাৰ্যদের সাহায্যেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষাকে সফল ও সজীব করিবার একমাত্র উপায়। ইহার অভাবে বড় বাড়ী, ভাল আসবাব, এমন কি বহুমূল্য যন্ত্রপাতি সকলি বৃথা। আর এইটী ঘটিলে