পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহের পণ।* আজকাল মস্ত একটা সােরগােলের তর্কের বিষয় হচ্ছে, বিবাহের পণ। যেখানে সেখানে যার তার মুখে শােনা যায় যে, সমাজে যতগুলি কুরীতি ও কুসংস্কার আছে সবগুলি মিলে আমাদের ততটা সর্বনাশ করে না যতটা করে এই এক বিবাহের পণ। গদ্যে, পদ্য, নাটকে, নভেলে, সব রকম সাহিত্যেই এ বিষয় নিয়ে খুব একটা আলােচনা চলছে ; রঙ্গমঞ্চের মাফতেও লােকের মনটাকে সু-রাহায় অনিবার চেষ্টা করা হচ্ছে ; আর যেই থেকে থেকে দুই একটী কুমারী পরিধেয় সাড়ীর সঙ্গে কেরােসিন তৈল এবং অগ্নির সংযােগ করে পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হচ্ছেন, অম্নি এক একটা তুমুল হৈ চৈঃ উঠছে এবং এমন কি সেই হিড়িকে দু চারটী উৎসাহী যুবক কাগজে স্বাক্ষর করে প্রতিজ্ঞা- বদ্ধ হচ্ছেন যে তারা বিবাহে পণ নেবেন না। কিন্তু এত লেখালেখির ফল যে কি হচ্ছে তা আমিও জানি, আর সব বাঙ্গালীরাও জানেন। বিবাহে পণ নেওয়া আমরা সকলেই বলি মন্দ কাজ, কিন্তু প্রতি কারের চেষ্টাটা আমার মনে হয় যেন গােড়া কেটে আগায় জল দেওয়ার মত।

  • এ বিষয়ে গত কার্তিকের “উপাসনা” পত্রিকায় একটি অতি জোরাল একা একাশিত

হয়েছে, যা আমি সকলকে পড়তে অনুরােধ করি। প্রবন্ধের নাম, একটি ভাবার কথা। লেখক অতুলচন্দ্র দত্ত। এত সাদা কথা এত সিধে ভাবে বলবার ক্ষমতা মাসিকপত্র লেখকদের মধ্যে নিত্য দেখা যায় না। সম্পাদক।