পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না। ঠ, ১৩২ দাম আছে কিন্তু তাও খুব বেশ নহে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে বিবাহযােগ্যা মেয়ে অনেক কিন্তু জামাতা কর্তে পায়া যায় এমন পাত্র কম। অতএব ঐ কয়টী সুপাত্রের জন্য মেয়ের বাপদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায় এবং তারা নিজেরাই দাম বাড়িয়ে দেন। একজন উশাধিকারী পাত্রের সহিত যে কন্যার পিতা ৫০ মাহিনা পান তিনিও বিবাহ দিতে উৎসুক, যিনি ৫০০ পান তিনিও আর্থ- হান্বিত আর যিনি হয়ত ৫০০০ রােজগার করেন তিনিও সুশিক্ষিত বলে তাকে জামাতারূপে পেতে ইচ্ছুক। ছেলে এ অবস্থায় নিলামে চড়ে; এবং এই তিন জনের ডাকাডাকিতে ছেলের দাম এত বেশী চড়ে যায় যে প্রথমােক্ত লােকের বসতবাটী বন্ধক পড়ে। একটু অনুধাবন করে দেখলেই বুঝতে পারা যাবে যে, বরপণটা প্রত্যক্ষভাবে বরের বাপ স্পষ্টতঃ চাইলেও কন্যার পিতারাই জোর করে দিকে দেন। আমাদের দেশে যখন বিবাহ কোর্টশিপ করে হয় না, এবং যখন বরের পতা বা অভিভাবক বধু বাছা করে থাকেন, আর মেয়েরা যখন সকলেই এক দরের, এমন অবস্থায় কোনও কারণ আছে কি, যে কন্যার পিতা যে টাকাটা জোর করে দিচ্ছেন তা কেন ফেলে দেওয়া হবে, বা বরের পিতা কেন একজন বড় কুটুম্ব কৰ্বেন না? ব্যাপার এমন ত নয় যে ছেলের বিবাহ না দিয়ে সমাজকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে, তবে তিনি নিজের মনােমত স্থানে বিবাহ দেবেন না কেন ? এ অবস্থা যে-কোনও দেশের পক্ষে অতি দুর্ভাগ্যের অবস্থা বলতে হবে যখন খাওয়াতে পার্ব না মনে করে লােক বিবাহ করে না, এবং সন্তানাদি জন্মালে আরও কষ্ট বাড়বে মনে করে, লােকে কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করে তাতে বাধা দেয়। কিন্তু প্রায় দেশই যখন