পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ বৰ, বিতীয় সংখ্যা বিবাহের পণ এইরূপ দুর্ভাগ্যক্লিষ্ট এবং ভারতবর্ষও যখন তা হতে মুক্ত নয় তখন বিবাহও যে অর্থনীতি দ্বারা শাসিত হবে তার আর আশ্চর্য কি? বিবাহের পর সন্তানাদি হলে তাদের কি খাওয়াব এবং তাদের শিক্ষা প্রভৃতির ব্যয় কোথা হ'তে আসবে এই সব ভেবে ছেলের বাপ আর ছেলের বিবাহ অল্প বয়সে দেন না। এই মনে করে যে, পাশকরা জামাতা অন্ততঃ করে খেতে পারবে, কন্যার পিতার পাত্র সন্ধান করতে করূতে কন্যার বালিকা অবস্থা উত্তীর্ণ হয় এবং পিতাও বিবাহের পর একরূপ সর্বস্বান্ত হন। এর প্রতিকার কিন্তু হাহুতাশ নয়, সভা সমিতি বক্তৃতা নয়, এমন কি ছেলের কিম্বা ছেলের বাপের “পণ চাহিব না” এইরূপ প্রতিজ্ঞাও নয়। শ্ৰীমতীর আত্মহত্যা করে তাঁদের পিতাদের সম্পত্তি রক্ষা করেন বটে কিন্তু সামাজিক লাভ যে তাতে কতদূর হয় ঠিক বলা যায় না—প্রত্যুত আমার মনে হয় যে সাধারণ লােকেরা এই অপরিপকবুদ্ধি বালিকাদের বাহবা দিয়ে এবং দের কাৰ্যের অনুমােদন করে সমাজকে দুর্বল করছেন এবং একটা মূতন প্রকারের সংক্রামক ব্যাধির সৃষ্টি করাচ্ছেন। এরূপ হলে খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠতে পারে যে তবে উপায় কি? যে কয়টী উপায় আমার নিকট সমীচীন মনে হয় তা এইখানে লিছি। ১। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপের মূল্য কমানো। যতদিন বিশ্ববিদ্যা- লয়ের মার্কামারা লােকেরা অপরের অপেক্ষা সহজে জীবিকা অর্জন করতে পাবে ততদিন উপাধির দাম কন্যার পিতাকে নগদ গুণে দিতেই হবে। পাসের মুল্য পূৰ্ব্বাপেক্ষা কমেছে বলে মনে হয়, এবং আজকাল অনেকে শুধু পাসকরার তুলনায় চাকরে ছেলেকে বেশী পছন্দ করেন। সকাল যে রকম চাকরির বাজার তাতে পাসের দাম