পাতা:সবুজ পত্র (বর্ষ ২) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O সবুজ পত্ৰ ठेवाई, भ७२२ দ্বিমত নেই। ইতিহাসের ছবি আঁকতে হলে প্ৰথমে ভূগোলের জমি করতে হয়। কোনও একটি দেশের সীমার মধ্যে কালকে আবদ্ধ না করতে পারলে, সে কালের পরিচয় দেওয়া যায় না। অসীম আকাশের জিওগ্রাফি নেই-অনন্ত কালেরও হিষ্টরি নেই। কিন্তু শাস্ত্রী মহাশয় GBDDBD S DBDDS K S SDS BS SBBBDBB S BDDDD পরিচয় দেন নি,-ফলে গৌরবটা উত্তরাধিকারী-স্বত্ত্বে আমাদের কি অপরের প্রাপ্য-এ বিষয়েও সন্দেহ থেকে যায় । শাস্ত্রী মহাশয়ের শক্ত হাতে পড়ে দেখতে পাচ্ছি অঙ্গ ভয়ে বঙ্গের ভিতর সেধিয়েছেকেননা যে “হস্তায়ুবেদ” আমাদের সর্বপ্রথম গৌরব, সে শাস্ত্র অঙ্গরাজ্যে রচিত হয়েছিল। বাঙ্গলার লম্বাচোঁড়া অতীতের গুণবৰ্ণনা করতে হলে, বাঙ্গলা দেশটাকেও একটু লম্বাচোঁড়া করে নিতে হয়, সম্ভবতঃ সেই জন্য শাস্ত্রী মহাশয় আমাদের পূর্বপুরুষদের হয়ে অঙ্গকেও বে-দখল করে বসেছেন। তাই যদি হয়, তাহলে বরেন্দ্ৰভূমিকে ছোট দেওয়া হ’ল কেন ? শুনতে পাই বাঙ্গলার অসংখ্য প্রত্নরাশি বরেন্দ্ৰভূমি নিজের বুকের ভিতর লুকিয়ে রেখেছে। বাঙ্গলার পূর্বগৌরবের পরিচয় দিতে গিয়ে বাঙ্গলার যে ভূমি সব চেয়ে প্ৰত্নগৰ্ভা, সে প্রদেশের নাম পৰ্য্যন্ত উল্লেখ না। করবার কারণ কি ? যদি এই হয় যে, পূর্বে উত্তরবঙ্গের আদৌ কোন অস্তিত্ব ছিল না , এবং থাকলেও সে দেশ বঙ্গের বহির্ভূত ছিল- তাহলে সে কথাটাও বলে দেওয়া উচিত। নচেৎ বরেন্দ্ৰ অনুসন্ধান-সমিতি আমাদের মনে একটা ভুল ধারণা এমনি বদ্ধমূল করে দেবে যে, তার “আমূল পরিবর্তন” কোনও চুটুকি ইতিহাসের দ্বারা সাধিত হবে না ।