পাতা:সবুজ পত্র (বর্ষ ২) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s সবুজ পত্ৰ खाई, १७२२ অসঙ্গত হবে না । কেননা যদি সেকালে গাধা না থাকত ত একালে এদেশে এত গাধা এল কোথা থেকে ? ঘোড়া যে বিদেশ থেকে এসেছে, তার পরিচয় ঘোড়ার নামেই পাওয়া যায়, যথা-পগেয়া, ভুটিয়া, তাজি, আরবী ইত্যাদি। কিন্তু গর্দভদের এরূপ কোনও নােমরূপের প্রভেদ দেখা যায় না । এবং ও জাতি যে, যে-কোনও অর্বাচীন যুগে বঙ্গদেশে এসে উপনিবেশ স্থাপন করেছে, তারও কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই।-অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে-রাসভকুল অপর সকল দেশের ন্যায়। এদেশে এখনও আছে, পূর্বেও ছিল। তবে একমাত্র নামের সাদৃশ্য থেকে এরূপ অনুমান করা অসঙ্গত হবে যে, আৰ্য্য ঋষিরা পুরাকালের বাঙ্গালীদের এরূপ তিরস্কারে পুরস্কৃত করেছেন। সংস্কৃত ভাষায় “বঙ্গ” শব্দের অর্থ বৃক্ষ। সুতরাং ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, আরণ্যক শাস্ত্ৰে বৃক্ষ পক্ষী সৰ্প প্ৰভৃতি আরণ্য জীবজন্তুরই উল্লেখ করা হয়েছে-- বাঙ্গালীর নামও করা হয় নি - অতএব আমাদের অতীত অতি গৌরবেরও বস্তু নয়-অতি আগৌরবেরও বস্তু নয়। আর একটি কথা। হীরেন্দ্ৰবাবু দৰ্শন-শব্দের, এবং যোগেশ বাবু বিজ্ঞান-শব্দের নিরুক্তের আলোচনা করেছেন, কিন্তু যদুবাবু ইতিহাসের নিরুক্ত সম্বন্ধে নীরব । ইতিহাস-শব্দ সম্ভবতঃ হস ধাতু হতে উৎপন্ন-অন্ততঃ শাস্ত্রীমহাশয়ের ইতিহাস যে হাস্যরসের উদ্রেক করে, সে বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই। এমন কি, আমার সময়ে সময়ে মনে হয় যে, শাস্ত্রীমহাশয় পুরাতত্ত্বের ছলে আত্মশ্লাঘাপরায়ণ বাঙ্গালী জাতির সঙ্গে একটি মস্ত রসিকতা করেছেন। शैब्रबल ।