পাতা:সবুজ পত্র (বর্ষ ২) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο Οθ সবুজ পত্ৰ ४आर्छ, ४७२२ সঙ্গে-সঙ্গেই সেই অনুষ্ঠিত কৰ্ম্মের ফল “ব্ৰহ্মাৰ্পণমস্তু” বলিয়া পরিত্যাগ করিবার জন্য বলা হইয়াছে, কারণ “ফলে সক্তো নিবধ্যতো।” এ সম্বন্ধে এখানে বাহুল্যের প্রয়োজন নাই। যে ধৰ্ম্মের সর্বসার কথা এবং সমস্ত জ্ঞান-সাধনের চরম লক্ষ্য BBB BD DDB BD DBDBBS gDB BD DBDSDD DBDDB মধ্যে দেখিতে হইবে; সমস্ত ভূতের মধ্যে ভগবানকে, এবং সমস্ত ভূতকে ভগবানের মধ্যে দেখিতে হইবে ; আমার মনে হয়, সেই ধৰ্ম্মে বিশ্বহিতসাধন যেরূপ সুন্দর আকার ধারণ করিতে পারে, এবং বস্তুত ও করিয়াছে, অপর ধৰ্ম্মে সেরূপ করিতে পারে না । বেদপন্থীর ধৰ্ম্মে এই কথা বলে যে, এই যে, স্থাবর-জঙ্গমময় বিশ্ব, ইহা ভগবানের শরীর, ক্ষিতি, অপ, তেজ, বায়ু ইত্যাদি অষ্ট মূৰ্ত্তি দ্বারা তিনি এই বিশ্বকে ব্যাপ্ত করিয়া রহিয়াছেন । এই বিশ্ব-স্থিত কোনো দেহীর কোনরূপ পীড়ন করিলে অষ্টমূৰ্ত্তিধর ভগবানের তাহা অভিমত হয় না, তাহা তাহার অগ্ৰীতিকর। কারণ, সকলের উপকার করা, সকলকে অনুগ্রহ করা এবং সকলকে অভয়প্রদান করাই শিবের পূজা। বেদান্তদর্শনের শৈলভাষ্যকার শ্ৰীকণ্ঠ ( ১, ২, ১ ) পুরাণের এই বচন তুলিয়াছেন :- “বিগ্ৰহং দেবদেবস্ত জগদেতচরাচরম। এতমৰ্থং ন জানন্তি পশবঃ পাশ গৌরবাৎ ॥ বিছোতি চেতনাং প্ৰাহুস্তথাবিদ্যামচেতনাম। বিদ্যাবিদ্যাত্মকং সৰ্বং বিশ্বং বিশ্বগুয়োর্বিভোঃ ॥ রূপমস্যা ন সন্দেহে বিশ্বাং তস্য বশে যতঃ ॥