পাতা:সবুজ পত্র (বর্ষ ২) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२म वर्ष, ११भ ७ ईि ग९१] স্ত্রীশিক্ষা Vy ব্যবহারিক শিক্ষা তার একটা বিশেষত্ব আছে। এ কথা মানিতে দোষ কি ? * মেয়েদের শরীরের এবং মনের প্রকৃতি পুরুষের হইতে স্বতন্ত্র বুলিয়াই তাঁহাদের ব্যবহারের ক্ষেত্র স্বভাবতই স্বতন্ত্র হইয়াছে। আজকাল বিদ্রোহের ঝোঁকে একদল মেয়ে এই গোড়াকার কথাটাকেই অস্বীকার করিতেছেন। তাঁরা বলেন, মেয়েদের ব্যবহারের ক্ষেত্র পুরুষের সঙ্গে একেবারে সমান। এটা তঁদের নিতান্তই ক্ষোভের কথা। ক্ষোভের কারণ এই যে, পুরুষ আপন কৰ্ম্মের পথ ধরিয়া জগতে নানা বিচিত্র ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব লাভ করিয়াছে কিন্তু মেয়েদের কৰ্ম্ম যেখানে, সেখানে অধিকাংশ বিষয়েই তাহাদিগকে দায়ে পড়িয়া পুরুষের অনুগত হইতে হইয়াছে। এই আনুগত্যকে তঁরা অনিবাৰ্য বলিয়া মনে করেন না। তঁরা বলেন, পুরুষ এতদিন কেবলমাত্র গায়ের জোরেই মেয়েদের কঁধের উপর এই আনুগত্যটা চাপাইয়া দিয়াছে।। জগতের সর্বত্রই এই কথাটা যদি “” এতদিন ধরিয়া সত্য হইয়া থাকে, যদি মেয়েদের প্রকৃতির বিরুদ্ধে পুরুষের শক্তি তাহাদিগকে সংসারের তলায় ফেলিয়া রাখিয়া থাকে। তবে বলিতেই হইবে দাসত্বই মেয়েদের পক্ষে স্বাভাবিক। দাসত্ব বলিতে এই বোঝায়, দায়ে পড়িয়া অনিচ্ছাসত্ত্বে পারুের দায় বহন করা। যাদের পক্ষে এটা প্রকৃতিসিদ্ধ নয়, তারা বরঞ্চ মারে তবু এমন উৎপাত সহ করে না। এতদিনের মানবের ইতিহাসে যদি এই কথাটাই সর্ব দেশে সপ্রমাণ হইয়া থাকে যে, দাসীত্ব মেয়েদের স্বাভাবিক, তবে পৃথিবীর সেই অৰ্দ্ধেক মানুষের লজ্জায় সমস্ত পৃথিবী আজ মুখ তুলিতে