পাতা:সভ্যতার পাণ্ডা.pdf/১৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সভ্যতার পাণ্ডা।

বিশ্বে।সে কি? আস্‌বের সময় তো দেখলুম তিনি গাড়িতে উঠ্‌ছেন।
ভব। হাঁ, ডেথ্ রেজেস্ট্রী কর্ত্তে গেল।
বিশ্বে। বটে! তোমার কি বে দেবেন?
ভব। না, তা না। কি জান, ছিষ্টিধর পরশু মেলে বিলেত যাবে, ঘেসেড়াগিরী শিখ্‌বে! কাজটা বড় শক্ত, ব্যারিষ্টারী ডাক্তারী নয়, সে দু এক বছরে হবে; এসে ঘেসেড়ার আফিস খুলবে। সেখানে অন্তত বছর দশেক শিখতে কবে, অ্যাদ্দিনে কর্ত্তার ভাল মন্দ হোক্, শেষ কি ব্যাটা থাক্‌তে ব্যাড়া আগুনে পুড়বে, না জ্ঞাতে শ্রাদ্ধ করবে? তাই পুরুৎ ঠাকুর পরামর্শ দিয়েছেন, আজ ছিষ্টিধর মুখ-অগ্নি করে কাচা নিয়ে থাক্‌বে, কাল্ সকালে শ্রাদ্ধ করে, পরশু মেলে উঠবে।
বিশ্বে। বটে? তবে ভাই আর তোমায় কি বলবো!
ভব। তোমারো বে শুন্‌ছি, তোমায়ই বা কি বল্‌বো! তা নৈলে একবার শ্রাদ্ধ টাদ্ধ দেখে যেতে। তা সকাল সকাল তে বে চুকে যাবে, একবার তোমার নিউডিয়ারকে নিয়ে এদিকে আস্‌তে পারবে না?
বিশ্বে। দেখি কদ্দুর হয় বল্‌তে পারিনি।
ভব। হাঁ, ভাল কথা মনে হলো, কর্ত্তা ডেথ্ রেজেষ্ট্রী করে এলেই আমার কাঁদ্‌তে হবে; কখনোত স্বামী মরেনি, কি করে কাঁদতে হয় জানিনি, অসভ্য কারাত কাঁদতে পারবোনা।
বিশ্বে। ও সোজা। আমার স্বামী মরতে, রুমালে এক্‌টু