চিঠিপত্র δ ο Φ এ আমাদের সঙ্কীর্ণতা আমাদের আলপ্ত ঘুচাইয়া তবে ছাড়িবে। আমাদের মধ্যে বৃহৎ প্রাণ সঞ্চার করিয়া সেই প্রাণ পৃথিবীর সহিত যোগ করিয়া দিবে। আমাদিগকে তাহার দূত করিয়া পৃথিবীতে নুতন নূতন সংবাদ প্রেরণ করবে। আমাদের দ্বারা তাহার কাজ করাইয়া লইয়া তবে নিস্তার । আমার মনে নিশ্চয় প্রতীতি হইতেছে, বাঙালীদের একটা কাজ আছেই। আমরা নিতান্ত পৃথিবীর অন্নধ্বংস করিতে আসি নাই। আমাদের লজ্জা একদিন দূর হইবে। ইহা আমরা হৃদয়ের ভিতর হইতে অনুভব করিতেছি । আমাদের আশ্বাসের কারণও আছে । আমাদের বাঙালীর মধ্য হইতেই ত চৈতন্য জন্মিয়াছিলেন। তিনি ত বিঘাকাঠার মধ্যেই বাস করিতেন না, তিনি ত সমস্ত মানবকে আপনার করিয়াছিলেন । তিনি বিস্তৃত মানব-প্রেমে বঙ্গভূমিকে জ্যোতিৰ্ম্ময়ী করিয়া তুলিয়াছিলেন। তখন ত বাংলা পৃথিবীর এক প্রান্তভাগে ছিল, তখন ত সাম্য ভ্রাতৃভাব প্রভৃতি কথাগুলোর স্বষ্টি হয় নাই ; সকলেই আপনাপন আহিক তর্পণ ও চণ্ডীমণ্ডপটি লইয়া ছিল—তখন এমন কথা কি করিয়া বাহির श्श “মার খেয়েছি না হয় আরো খাব, N তাই বলে কি প্রেম দিব না ? অায় !” একথা ব্যাপ্ত হইল কি করিয়া ? সকলের মুখ দিয়া বাহির হইল কি করিয়া ? আপনাপন বঁাশবাগানের পশ্বস্থ ভদ্রাসনবাটির মনসাসিজের বেড়া ডিঙ্গাইয়া পৃথিবীর মাঝখানে আসিতে কে আহবান করিল, এবং সে আহবানে সকলে সাড়া দিল কি করিয়া ? এক দিন ত বাংলা দেশে ইহাও সম্ভব হইয়াছিল ? একজন বাঙালী আসিয়া একদিন বাঙালা দেশকে ত পথে বাহির করিয়াছিল ? একজন বাঙালী ত একদিন সমস্ত পৃথিবীকে পাগল করিবার জন্ত মড়যন্ত্র, করিয়াছিল এবং
পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।