পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র So a করিতেছে তাহাও আমাদের দুষ্প্রাপ্য। কাজ করিয়া প্রকৃত সিদ্ধি নাই কেবল অহর্নিশি শ্রান্তিই সার। আমার মনে হয় তার চেয়ে আমবা ছিলাম ভাল—আমাদের সেই স্নিগ্ধ কাননচ্ছায়ায়, পল্লবেব মৰ্ম্মর শব্দে, নদীব কলম্বরে, মুখের কুটীরে স্নেহশীল পিতামাতা, পতিপ্রাণ স্ত্রী, স্বজন-বৎসল পুত্রকন্যা, পরিবারপ্রতিম পরিচিত প্রতিবেশীদিগকে লইয়া ষে নিরুপদ্রব নীড়টুকু বচনা করিয়াছিলাম, সে ছিলাম ভাল । য়ুরোপীয় বিরাট সভ্যতার পাষাণ-উপকরণসকল আমরা কোথায় পাইব ! কোথায় সে বিপুল বল, সে শ্রান্তিমোচন জলবায়ু, সে ধুরন্ধর প্রশস্ত ললাট! অবিশ্রাম কৰ্ম্মানুষ্ঠান—বাধাবিন্ধের সহিত অবিশ্রাম যুদ্ধ— নূতন নূতন পথেব অনুসন্ধানে অবিশ্রাম ধাবন—অসন্তোষানলে অবিশ্রাম দাহন— সে আমাদের এই প্রখর বৌদ্রতপ্ত আৰ্দ্ৰসিক্ত দেশে জীৰ্ণশীর্ণ দুৰ্ব্বল-দেহে পারিব কেন ? কেবল আমাদের শুামল শীতল তৃণনিবাস পরিত্যাগ করিয়া আমরা পতঙ্গের মত উগ্র সভ্যতানলে দগ্ধ হইয়া মরিব মাত্র । বালকেরা শুনিবে এবং বুদ্ধের বলিবে এই জন্ত তোমাদের কাছে সংক্ষেপ-চিঠি প্রত্যাশা করি কিন্তু নিজে বড় চিঠি লিখি। অৰ্ব্বাচীনদের কথা ধৈর্য্য ধরিয়া বেশিক্ষণ শুনিতে পারি না—কিন্তু নিজের কথা বলিয়া তৃপ্তি হয় না—অতএব “নিজে যেরূপ ব্যবহার প্রত্যাশা কর অন্যের প্রতি সেইরূপ আচরণ করিবে” এই উপদেশ অনুসারে আমার সহিত কাজ করিয়ো না—আগে হইতে সতর্ক করিয়া দিলাম। আশীৰ্ব্বাদক শ্ৰীষষ্ঠীচরণ দেবশক্ষণ; }